সতর্ক শুরু বাংলাদেশের

Slider খেলা


বিশ্বকাপে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নিলেও শুরুতে অতি সাবধানি ছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। জসপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ ওভারে তুলতে পেরেছে মাত্র ১০ রান। তার পর ধীরে ধীরে কিছুটা গতি বাড়িয়েছেন তারা।

খেলা হচ্ছে না সাকিবের, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ছে ভারত। বাংলাদেশ অবশ্য প্রথম ম্যাচ জিতলেও টানা দুটি ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে। আত্মবিশ্বাস ফেরাতে আজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। কিন্তু টসের মুহূর্তে বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে তারা। ইনজুরির পর পুরোপুরি ফিট না থাকায় আজ খেলা হচ্ছে না অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তবে পুনের ব্যাটিং বান্ধব পিচে টসটা বাংলাদেশ ঠিকই জিতেছে। শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

টস করেছেন সাকিবের ডেপুটি নাজমুল হোসেন শান্ত। টস করেছেন সাকিবের ডেপুটি নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাকিব না থাকায় টস করেছেন তার ডেপুটি নাজমুল হাসান শান্ত। টসের পর বলেছেন, সম্পূর্ণ ফ্রেশ উইকেট দেখে পর্যাপ্ত রান তুলতে চান তারা। অপর দিকে রোহিত শর্মা বলেছেন, তিনি টস জিতলে শুরুতে বোলিংই নিতেন। কারণ শুরুতে বোলিং তাদের অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছে।

বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন

সাকিব না থাকায় তার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন আরেক বাঁহাতি নাসুম আহমেদ। নেই তাসকিন আহমেদও। তার জায়গায় হাসান মাহমুদকে নেওয়া হয়েছে। ভারত অবশ্য প্রত্যাশিতভাবে একাদশে কোনও পরিবর্তন আনেনি।

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

ভারত একাদশ

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ।

এক নজরে পরিসংখ্যান

দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান যাই হোক না কেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে দুই দলের লড়াই ক্ল্যাসিক দ্বৈরথে পরিণত হয়েছে। দুই দলের ম্যাচে থাকে লড়াইয়ে ঝাঁজ। অনেক সময় জন্ম দেয় স্নায়ী ক্ষয়ী মুহূর্তেরও। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ একবারই ভারতকে হারাতে পেরেছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল সাকিব-তামিমরা। এরপর ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ তিনটি আসরেই শেষ হাসি ভারতের। এখন পর্যন্ত ৪০ বারের দেখায় ভারতের জয় ৩১ ম্যাচে, বাংলাদেশের আটটি। তবে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ চার ওয়ানডেতে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে সাকিব আল হাসানরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *