ড.ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক হয়রানি বন্ধে বিশিষ্টজনদের আহ্বান

Slider বাংলার মুখোমুখি

ড.ইউনূস দেশের গর্ব তার বিরুদ্ধে বিচারিক হয়রানি বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটিতে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘বিচারিক হয়রানি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা এই আহ্বান জানান।

সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‌‘প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের একজন মানুষ হিসেবে আমি দেখেছি আমার গ্রামের অনেক দরিদ্র ছেলেমেয়েরা গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণের কারণে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। গ্রামের লোকেরা মোবাইলের সুবিধা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু দুঃখজনক, তার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে সরকার হয়রানি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ড.উনূসকে সুদখোর বলা হচ্ছে। আমাদের আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মানুষ তো কোনো না সুদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মেধাবীরা রাজনীতিতে এগিয়ে না আসায় বাজে মানুষ সমাজ-রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। তাই দেশের পরিবর্তনের জন্য তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে।’

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্যক্তি আক্রোশের শিকার। সরকারকে ড. ইউনূসের প্রতি হয়রানি বন্ধের আবেদন জানাচ্ছি।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এখন বিচারলীগ তৈরি করছে। যে অব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা দেশকে রেখে যাচ্ছে তা ঠিক করতে দেশের জনগণকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।

সরকারের পক্ষে প্রশংসা করে নাম পরিচয়হীন লেখকদের ৭০০ প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করে শহিদুল আলম বলেন, ‘এটা আমাদের দৈন্যদশা। ড.মুহাম্মাদ ইউনূস সারা বিশ্বে একজন সম্মানিত ব্যক্তি। দেশের বাইরে গেলে বুঝা যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি কতটা সম্মানিত। তাকে হয়রানির প্রতিবাদ জানাই, তার প্রতি সব সময় আমার শ্রদ্ধা।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদ জিয়া ও তারেক রহমানের মত একইভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিচারিক হয়রানির স্বীকার। এর বিরুদ্ধে সকলকে দাঁড়াতে হবে।

ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুর্শিদ বলেন, ড. ইউনূসের মতো সুদখোর হতে তো আপত্তি নেই। সামাজিক ব্যবসা ধারণার মাধ্যমে যেভাবে সমাজ পরিবর্তন, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে ড. ইউনূস ভূমিকা রেখেছেন তাতে ড.ইউনুসের মতো সদুখোর হওয়া তো ভালো।

বিকল্পধারার সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন নুরুল আমিন বেপারী বলেন, ড. ইউনূসের প্রতি সরকার যা করছে তা অন্যায়। যা গত ১৪ বছর ধরে সরকার বিরোধীদের সঙ্গে করে যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মু. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতা, এডভোকেট খালিদ হোসেন, এস আলম, তানভীর ইউসুফ, সাংবাদিক রোকনুজ্জামান ও মনিরুল মাওলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *