ইশ্বর স্বাক্ষী, আমি স্বাক্ষর করিনি: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

Slider সারাবিশ্ব


পাকিস্তানের বিতর্কিত অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধনী) বিল ও পাকিস্তান আর্মি (সংশোধনী) বিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি বলেছেন, তার স্টাফরা তার সঙ্গে বেইমানি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইশ্বর স্বাক্ষী, আমি স্বাক্ষর করিনি।’ পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ আগস্ট জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগ পর্যন্ত অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধনী) বিলটি যেকোনো সময় আইনে পরিণত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। সিনেট ও সংসদে বিল দুটি পাস হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার এই আরিফ আলভি এই বিলে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। এই বিলে স্বাক্ষর করায় নিজ দল পিটিআইয়ের সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

তবে আজ রোববার আরিফ আলভি দাবি করছেন, তিনি বিল দুটিতে স্বাক্ষর করেনি। এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইশ্বর স্বাক্ষী, আমি অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধনী) বিল ও পাকিস্তান আর্মি (সংশোধনী) বিলে স্বাক্ষর করিনি। আমি এই আইনের বিরোধিতা করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্টাফদের বলেছিলাম, বিলগুলো যেন বিনা স্বাক্ষরে দ্রুত ফেরত দেওয়া হয়। আমি বারবার তাদের নিশ্চিত করেছিলাম এবং জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হয়েছিল কি না। তবে আজ জানতে পারলাম, স্টাফরা আমার ইচ্ছা ও নির্দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আল্লাহ যেহেতু সব জানেন, তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, যারা এই বিলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

কী আছে এই আইনে?

পাকিস্তানের বিরোধীদল পিটিআই নেতা ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশি অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তখন থেকেই আলোচনায় আসে এই আইন দুটি। গত ৩১ জুলাই পাকিস্তানের পার্লামেন্ট পাকিস্তান আর্মি (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পাস করে। এতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোপন তথ্য ফাঁসের দায়ে কারও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগের বিধান রাখা হয়।

অফিসিয়াল আর্মি অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবলে পাকিস্তান ও এর প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিরাপত্তাহানি হয়-এমন গোপন তথ্য ফাঁস করে, তবে তার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সংশোধনীর ফলে এই আইন এখন পাকিস্তানের কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সব সেনাসদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংশোধনীতে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে এখন সন্দেহভাজনের ওপর তদন্ত চালানো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *