ইকুয়েডরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্নান্দো ভিলিভানসিও। অবশ্য আগে থেকেই এই হুমকির কথা জানতেন দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই নেতা। সহিংসতার আশঙ্কায় তার দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার স্থগিত করার পরামর্শ দিলেও তিনি রাজি হননি।
গতকাল বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কুইটো শহরে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন ফার্নান্দো। তিনি গাড়িতে ওঠার সময় এক ব্যক্তি সামনে এগিয়ে আসেন এবং তার মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা কর্মীরা। নিহত হন হামলাকারী। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইকুয়েডরে এমন সহিংসতা নতুন কিছু নয়। গত জুলাই মাসে আততায়ীর হাতে খুন হয়েছিলেন মেয়র মান্টা। এ ছাড়া ফার্নান্দোর দল মুভিমিয়েন্তো কনস্ত্রুয়ে জানিয়েছে, তাদের পার্টি অফিসেও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
এমন অবস্থায় ফার্নান্দোকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী প্রচার স্থগিত রাখতে। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে নিরব থাকা ও লুকিয়ে থাকা আসলে কাপুরুষের পরিচয়।’ এখন প্রশ্ন হলো, ইকুয়েডরে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কে এই ফার্নান্দো?
একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোইকুয়েডর এর সাবেক ইউনিয়ন সদস্য। পরবর্তী সময়ে তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। গত মঙ্গলবার তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের তেল ব্যবসা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি।
আগামী ২০ আগস্ট ইকুয়েডরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ফার্নান্দোর প্রতিশ্রুতি ছিল, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন এবং ট্যাক্স ফাঁকি কমাবেন। জরিপ অনুযায়ী, তার সাড়ে সাত শতাংশ সমর্থন ছিল। আটজন প্রার্থীর মধ্যে জনপ্রিয়তায় তার অবস্থান ছিল পঞ্চম।
সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরিয়ায় কট্টর সমালোচক ছিলেন ফার্নান্দো। এজন্য ১৮ মাস তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইকুয়েডরের আদিবাসী অঞ্চলে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে চলে যান পেরুতে।
পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে ফার্নান্দোর সমালোচনা করত বিরোধী দলীয় নেতারা। চলতি বছর লাসোর অভিশংসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ফার্নান্দোর ওপর ক্ষুব্ধ হন বিরোধী দলীয় নেতারা।
f