শুটিং সেটে কাঁদলেন নায়িকা, ডাকলেন পুলিশ

Slider বিচিত্র

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের বিরুদ্ধে শুটিং ইউনিটের লোকজন ও সহশিল্পীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা গেল শুক্রবারের, ‘শ্বশুর বাড়িতে প্রথম দিন’ নাটকের শুটিং সেটে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যায়েও। অভিনেত্রী চমকের দাবি, অভিনেতা মাসুম বাশারসহ সেটের লোকজন তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।

জানা যায়, গেল শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার আনন্দবাড়ি শুটিং হাউজে নায়িকার কলটাইম ছিল সকাল ১০টায়। তবে তিনি শুটিংয়ে হাজির হন সকাল সাড়ে ১১টায়। সেটে প্রবেশ করা মাত্রই অকারণে খেপে যান তিনি। মেকআপ রুমেও মেজাজ দেখান চমক। এরপর শুরু হয় নাটকের শুটিং।

প্রথম দৃশ্য শেষ হওয়ার পর প্রোডাকশন ম্যানেজার চমককে বলেন, ‘আপা, শটটা খুব সুন্দর হয়েছে’। আর তাতে যেন আবারো তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন চমক। এরপর নাটকের পরিচালক আদিব হাসান তাকে বলেন, ‘আপনি যেভাবে রিঅ্যাক্ট করছেন; এ রকম কোনো ঘটনাই এখানে ঘটেনি। আপনি কেন তাদের ধমকাচ্ছেন?’

এতে চমক আরও রেগে গিয়ে শুটিং করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তখন নির্মাতাও তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হন। এ সময় নির্মাতার সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র অভিনয়শিল্পী মাসুম বাশারও।

ঘটনার একপর্যায়ে পুলিশে খবর দেন অভিনেত্রী চমক। পুলিশ আসলে অভিনেতা মাসুম বাশারের সঙ্গে কথা বলে চলে যায়। কিন্তু বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি চমক। এ নিয়ে মাসুম বাশারের সঙ্গেও কথা-কাটাকাটি হয় তার। দ্বিতীয় দফায় পুলিশ এলে চমক কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন, মাসুম বাশারসহ সেটের অনেকে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে তা সামাল দিতে সেখানে হাজির হন অভিনয়শিল্পী সংঘের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাজনীন হাসান চুমকি। তিনি সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। ততক্ষণে বন্ধ হয়ে যায় নাটকের শুটিংও।

নির্মাতা আদিব হাসান বলেন, ‘যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে ডিরেক্টর গিল্ডের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে বিচারাধীন। তারাই এর সিদ্ধান্ত নেবে।’

ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ‘শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। ডিরেক্টর গিল্ড ও অভিনয়শিল্পী সংঘ মিলে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

এ বিষয়ে অভিনেত্রী চমকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *