মানি লন্ডারিং মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ড

Slider বাংলার আদালত

মানি লন্ডারিং আইনের একটি মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর এবং তার সাত দেহরক্ষীর ৪ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, রায়ের অবজারভেশনে বিচারক বলেছেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ অর্থপাচারকারীদের কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।

মামলায় দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কারাগারে থেকে আদালত হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রায়ে আসামিদের মানিলন্ডারিং অর্থের দিগুণ ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। এর আগে অস্ত্র মামলায় এ আসামিদের গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন অপর একটি আদালত।

তার আগে গত ১৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এরপর অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় যুবলীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *