রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী পুরো দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আজ রোববার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে কোনো পণ্য নামার পর যে দাম থাকে, সেটি বাজার থেকে বের হওয়ার সময় দেড়গুণ-দ্বিগুণ দাম হয়ে যায়। তাহলে আমরা কীভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব? সেজন্য বিক্রেতাদের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ রাখতে হবে। তা না হলে আমরা জরিমানা করব। প্রয়োজনে আরও কঠোর থেকে কঠোরতম জায়গায় যাবে। কারণ, এভাবে তো চলতে পারে না।’
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা কারওয়ান বাজারের পাঁচ-দশজন লোক সারা বাংলাদেশকে জিম্মি করে ফেলছেন। কারণ, কারওয়ান বাজারে কোনো জিনিসের দাম বাড়লে সারা বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ে।’
কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘কাঁচা মরিচের মূল্য ১০ গুণ বাড়ার কোনো কারণ নেই। প্রতি বছর বর্ষার সময় মরিচের উৎপাদন কমে, দাম বাড়ে। তাই বলে কোনো বছরই মরিচের দাম এভাবে রেকর্ড করেনি। তার মানে বাজারে কোনোভাবে অদৃশ্য হাত কাজ করেছে। সেটার ফলাফল কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা হয়েছে। এর জন্য আমরা সবাই একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। এটি কোনো সভ্যতার লক্ষণ নয়।’
বাজারের চলমান অস্থিরতা কমাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় রশিদ দেওয়া নিশ্চিত করতে চাই। এটি আমাদের আইনেও বাধ্যতামূলক করা আছে। আমরা এখন থেকে এটি পরীক্ষা করব। কাঁচা মরিচ সুপারশপগুলোয় কম-বেশি ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শুধু একটি প্রতিষ্ঠান ৬২০ টাকা বিক্রি করেছে। যারা এভাবে আপ-ডাউন মালামাল বিক্রি করেছে, তাদের লিখিত নোটিশ দেওয়া হবে। তারা তিন দিনের মধ্যে এর জবাব দেবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই, ক্যাব ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।