কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে চার ট্রাক কাঁচা মরিচ। এর ফলে দিনাজপুরের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। এক দিনের ব্যবধানে ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুর হিলি স্থলন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন রশিদ হারুন আজ বুধবার বিকেল ৪টায় সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিফ্রিং করেন। তিনি বলেন, কাঁচা মরিচ দেশে থাকার পরেও একটি মহল বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি শুরু করেছে। ফলে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে কাঁচা মরিচের দাম চলে গেছে। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় দিন বন্ধ থাকায় সুযোগ সন্ধানীরা হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি করে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা শুরু করেন।

তিনি জানান, আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুপুরে ৪ ট্রাকে ১০৮ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। বিকেলে আরও ৬টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। কাঁচা মরিচ আমদানি খবর জানার পর ব্যবসায়ীরা দুপুর থেকে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা শুরু করেছে।

কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য হওয়ায় মরিচ বোঝাই এসব ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশের পরপরেই শুল্কায়ন শেষে এসব কাঁচা মরিচ দ্রুত ছাড় দিয়েছে কাস্টমস কতৃপক্ষ। আমদানি করা এসব কাঁচা মরিচ টনপ্রতি ৩২ হাজার ৭০০ টাকা শুল্ককর দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

তবে মরিচ আমদানির পর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমদানিকারকরা। বন্দরে কোনো প্রকার পাইকার না থাকায় বন্দর থেকে নিজেরাই আমদানি করা এসব কাঁচা মরিচ রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা শহরের মোকামে পাঠাচ্ছেন তারা।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কবে কাঁচা মরিচ আমদানি হবে, তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। এ জন্য পাইকাররা অন্য স্থলবন্দর থেকে কাঁচা মরিচ কিনেছেন।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। ছবি: আমাদের সময়

হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক হবিবর রহমান বলেন, ‘আমরা কাঁচা মরিচ আমদানি করেছি। তবে পাইকার ও ক্রেতা না থাকায় নিজস্ব চালানে আমরা মরিচ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছি। আবার টানা বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তবে যেভাবে এলসি করা হয়েছে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি তারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। এখন আর কাঁচা মরিচের সংকট থাকবে না।’

আরেক ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, ‘গত কয়েকদিন পাইকার ছিল। তবে মরিচ আমদানী সম্ভব হয়নি। গতকাল আমদানি হয়েছে তো পাইকার ও ক্রেতা নেই। নিরুপায় হয়ে এখন নিজেরাই বিভিন্ন মোকামে কথা বলে মরিচগুলো বাজারজাত করছি।’

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছুটি শেষে আজ প্রথম বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ এসছে। আমরা দ্রুত সময়ে শুল্কায়ন করে ছাড় দিচ্ছি। শুল্কায়ন শেষে এসব কাঁচা মরিচ বন্দর থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *