গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে সদস্য সচিব নুরুল হক নুরপন্থীরা।
গতকাল শুক্রবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অনাস্থা প্রস্তাবের আগে ড. রেজা কিবরিয়া নূর সম্পর্কে যে সব বক্তব্য দিয়েছেন সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হবে ড রেজা কিবরিয়াকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চিঠি বলা হবে, ‘আমরা গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনি গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও ২১ দফা কর্মসূচির সাথে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন, যা আমাদের পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এ ছাড়া আপনাকে গণঅধিকার পরিষদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮-এর ক্ষমতাবলে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাচ্ছি।’
চিঠিতে আরও বলা হবে, ‘আপনাকে আমরা এই চিঠি প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভা ডেকে উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৯(ঘ) -এর ক্ষমতাবলে তলবি সভা ডেকে আপনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৃষ্ঠা ২ ও পৃষ্ঠা ৩-এ গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮-এর শর্ত অনুযায়ী দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হলো।’
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ জানান, বৈঠকে ১২১ জনের মধ্যে ৮৭ জন ড. রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে একমত হয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে বৈঠক হয়। যেখানে রেজা কিবরিয়া ছিলেন না। রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় রাশেদ খানকে। একই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে দলের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এরপর রেজা কিবরিয়া নূরকে বাদ দিয়ে নতুন সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা দেন। যে দ্বন্দ্ব এখনও চলমান। কাল শনিবার রেজা কিবরিয়ার দেশে আসার কথা রয়েছে।