বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
দুই সিটির সবগুলো কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হয়েছে। ইভিএমে ভোট হওয়ায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, কে হচ্ছেন রাজশাহী ও সিলেটের পরবর্তী মেয়র।
এদিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রের ভোট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে দুই সিটি নির্বাচনের ভোট মনিটরিং করা হয়।
সিলেট সিটিতে ৩ হাজার ২০৪টি এবং রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। ১ হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সিলেট সিটি এবং ১ হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটির ভোট নির্বাচন ভবন থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশন: সিলেট সিটিতে মোট মোটার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় ভোটার রয়েছেন। সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন: রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন মহিলা এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। রাজশাহী সিটিতে মেয়রপ্রার্থী ৪ জন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।