পিঠে নখের আঁচড়ের সূত্র ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাকের কর্মী রেজাউল করিম হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা।
এ ঘটনায় শাহিন আলী নামের ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনি রাজশাহীর চারঘাট থানার অনুপমপুর গ্রামের মোরশেদ আলীর ছেলে। শাহিন স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। রেজাউল করিমের কাছ থেকে লুট করা ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৪ জুন সাভার মডেল থানার পুলিশ তেতুঁলঝোড়া ইউনিয়নের ভরারী বটতলার একটি দোতলা ভবনের নিচ তলার সিঁড়ির সামনে থেকে রেজাউল করিমের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি পাবনার ভাঙ্গুরা থানার মৃত সেকান্দার আলী ছেলে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এনজিও কর্মীর কাছ থেকে লুট করা ৫০ হাজার টাকা শাহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার সময় নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া ছিলেন রেজাউল। প্রথমদিকে শাহিনের স্বাভাবিক আচরণ নানা প্রশ্নের জন্মের দেয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার শরীরে থাকা নখের আঁচড়ের সূত্র ধরে শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন শাহিন। নখের আঁচড়ই শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনে হত্যা রহস্য।