গাজীপুর সিটিতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ১৩২ জনই মাধ্যমিক পাস করেননি

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


গাজীপুর সিটি করপোরেশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪৬ জনের মধ্যে ৯২ জন মাধ্যমিক পাস করেননি। তাদের মধ্যে স্নাতকোত্তর রয়েছেন ২১ জন। আর সংরক্ষিত ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী নারী কাউন্সিলরের মধ্যে ৪০ জন মাধ্যমিক পাশ করেননি। তাদের মধ্যে স্নাতকোত্তর রয়েছেন ৮ জন।

আজ সোমবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমুর সরকার ওইসব তথ্য জানান।

দিলীপ কুমার সরকার জানান, স্নাতকোত্তর মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহানুর ইসলাম ও হারুন-অর রশিদ। স্বতন্ত্র নারী মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন স্বশিক্ষিত এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী রাজু আহমেদ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।

মেয়র এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগের পেশা ব্যবসা। মেয়র পদে তিনজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭৯ জনের মধ্যে ৩৯ জন গৃহিণী।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একটা বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হলেও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিছুটা ঝাঁকুনি খাবে।’
গাজীপুর প্রেসক্লাবে সুজনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আমাদের সময়

তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থীর কি যোগ্যতা তার পুরোপুরি তথ্য একজন ভোটারের জানা উচিত। এক্ষেত্রে একজন ভোটার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ততা নির্ণয় করতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবশ্যই তার জবাবদিহি, যোগ্যতা, স্বচ্ছতা এবং জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। সেসব বিষয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও ভোটারকে প্রার্থীর তথ্য জানতে হবে। প্রার্থীর মধ্যে জবাবদিহি আছে, স্বচ্ছতা আছে, কিন্তু সার্ভিস ডেলিভারি দেওয়ার মতো যোগ্যতা নেই। সেসব বিষয়গুলোর ব্যাপারেও প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটার প্রার্থীর তথ্য কাজে লাগাতে পারবেন।’

সুজনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার শিশিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তৌফিক জিল্লুর রহমান, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীব, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *