বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানলেন, তারিখ পাল্টে গেছে

Slider বিচিত্র

দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের যেকোনো কাজের শিডিউল পূর্ব নির্ধারিত থাকে। সে ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম শেষ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন সেনাকুঞ্জে এক বিয়ের দাওয়াতে।কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন বিয়ের কোনো লক্ষণই নাই।

পরে ভেন্যু ভুল হয়েছে ভেবে সেনা মালঞ্চে যান প্রতিমন্ত্রী। সেখানেও একই অবস্থা! শেষে পাত্রের কাছে ফোন দিয়ে জানলেন, বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আসলে মন্ত্রীর গুগল ক্যালেন্ডারে তারিখটা আপডেট করা হয়েছিল না। তাই এমন ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা।
গতকাল শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী। সেই সঙ্গে নিজেদের অতীতের কিছু মধুর স্মৃতিও শেয়ার করেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে আরিফা জেসমিন কনিকা লিখেছেন, ‘আজ সেনাকুঞ্জে একটা বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম। মন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম শেষ করে সেখানে পৌঁছতে রাত প্রায় ১০টা বেজে গিয়েছিল। গিয়ে দেখি সেনাকুঞ্জ অন্ধকার। বিয়ের কোনো লক্ষণই নাই। ভেন্যু ভুল হয়েছে ভেবে সেনা মালঞ্চে গেলাম। সেখানেও একই অবস্থা! শেষে পাত্রের কাছে ফোন দিয়ে জানা গেল বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রীর গুগল ক্যালেন্ডারে তারিখটা আপডেট করা হয়েছিল না।

এদিকে আমরা দাওয়াতে যাব বলে বাসায় আমাদের জন্য খাবার রাখতে নিষেধ করে দিয়েছি। অগত্যা ধানমন্ডি এলাকায় রেস্টুরেন্টের খোঁজে বের হলাম। রাত প্রায় ১১টা বেজে যাওয়ায় বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষে আমরা ২৭নং রোডে ‌বার বি কিউ টু নাইটে গেলাম। ছোট রেস্টুরেন্ট কিন্তু খাবার খুবই মজাদার ছিল।

খাওয়ার সময় মনে পড়ে গেল- ‘অনেক বছর আগে পলক তখন এলএলবি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় একটা ছোট বাসা নিয়ে থাকত। আমি শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম। পাশাপাশি লেখাপড়া, সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ছুটি পেলে ঢাকায় আসতাম ওর কাছে। একবার সে আমাকে বলল, তোমাকে একটা মজার খাবার খাওয়াব। আমার ভীষণ প্রিয়। আমি সুযোগ পেলেই গিয়ে খেয়ে আসি। আমাকে নিয়ে সে একটা রেস্টুরেন্টে গেল। ছোট রেস্টুরেন্ট হলেও দেখি সেখানে প্রচুর ভিড়। কেউ বসে খাচ্ছে, কেউ খাবার প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছে। সেদিন আমরাও অনেক মজা করে খিচুড়ি খেয়েছিলাম।’

সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিতেই সে বলল যে তারও মনে আছে। সেদিন আমরা মজাদার খিচুড়ি খেয়েছিলাম মতিঝিলে মধুমতি সিনেমা হলের পাশে ঘরোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *