দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অসহায় তিতাস

Slider জাতীয়


তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে জেঁকে বসেছে অনিয়ম-দুর্নীতি। দুর্নীতি রোধে সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয় না ‘উপর মহলের’ প্রভাবে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির আদেশ দিলেই তা ঠেকাতে তৎপর হয়ে তার সঙ্গে অপকর্মে জড়িত পুরো চক্র; শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাসহ প্রভাবশালীদের তদবির। সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার গায়ে জুড়ে দেওয়া হয় জামায়াত-শিবিরের তকমা; চলে হুমকি-ধমকি, নানান অপপ্রচারসহ মারমুখী আচরণ। এভাবে একপর্যায়ে শীর্ষপর্যায়ের ওই কর্মকর্তাকে রীতিমতো কোণঠাসা করে ফেলা হয়; বাধ্য করা হয় নতি স্বীকার করতে। সিন্ডিকেটের এহেন দৌরাত্ম্যের কারণেই তিতাসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাচ্ছে না। তারা একই কর্মস্থলে ১৫-২০ বছর ধরে রয়ে যাচ্ছেন। একই কর্মস্থলে ৩০ বছর ধরে চাকরি করেছেন, এমন নজিরও রয়েছে তিতাসে। অথচ চাকরির রীতি অনুযায়ী তিন বছর অন্তর কর্মস্থল বদল হওয়ার কথা।

তিতাসে দুর্নীতি রোধের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়- তিতাসের কর্মীরা একই কর্মস্থলে অনেকদিন ধরে কাজ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। একই জায়গায় অনেকদিন থাকার কারণে গ্রাহকদের

সঙ্গে অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছেন; লোকসান গুনছে কোম্পানি। একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার কারণেই কর্তৃপক্ষ অবৈধ সংযোগ, মিটার টেম্পারিং, কম্পিউটারে জালিয়াতি করে অবৈধ গ্রাহকদের এন্ট্রি করাসহ নানা ধরনের দুর্নীতি ঠেকাতে পারছে না। তিতাসে দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ তথা সার্বিক সংস্কারে দুদক সে সময় ২২টি সুপারিশও করেছিল। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সেসব সুপারিশের অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তিতাসও দুর্নীতিমুক্ত হয়নি।

তিতাস সূত্রে জানা যায়, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ প্রদানের চক্র সৃষ্টি, চাকরির পাশাপাশি ঠিকাদারিসহ নানা অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ-এপ্রিলে অফিস সহকারী থেকে শুরু করে ডিজিএম পর্যন্ত প্রায় ১১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছে তিতাসের প্রশাসন। তাদের কেউ কেউ একই কর্মস্থলে ১৫ বছর ধরে চাকরিরত। ১১৮ জনের মধ্যে সিবিএ নেতাও রয়েছেন। ফলে এ বদলির বিষয়টি নিয়ে সিবিএ নেতারা ক্ষুব্ধ। সূত্রমতে, তিতাসের সিবিএর নির্বাহী কমিটির নেতারা ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন তাদের নেতাকর্মীদের আগের জায়গায় পুনর্বহাল রাখতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা তৎকালীন পেট্রোবাংলার পরিচালক (বর্তমানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব) মো. মোস্তফা কামাল তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব (অতিরিক্ত) পালনকালে একসঙ্গে প্রায় ৫শ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করে এলাকা বা জোনভিত্তিক সিন্ডিকেট ভেঙে দেন। তিতাস গ্যাসের ইতিহাসে একসঙ্গে এত বদলি কখনো হয়নি। মোস্তফা কামাল চলে যাওয়ার পর যারা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা নানা চাপে পর্যায়ক্রমে অনেককেই আগের কর্মস্থলে ফিরিয়ে এনেছেন।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, বদলি একটি নিয়মিত বিষয়। প্রশাসন যাকে যেখানে দরকার বদলি করবে। তবে বদলি করলেই রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতাদের দিয়ে তদবির করানো হচ্ছে। বদলি ঠেকাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে এসব করে কোনো লাভ হবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। বিভাগীয় মামলা দেওয়া হবে।

বদলি ঠেকাতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন সিবিএ নেতারা- এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের সিবিএ সভাপতি মো. কাজিম উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, আমরা প্রশাসনকে কোনো ধরনের চাপ দিইনি। তবে সিবিএ নেতাদের কাউকে বদলি করলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, সিবিএর পক্ষ থেকে তিতাস প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করাই আমাদের লক্ষ্য। তিতাসে কোনো বিশৃঙ্খলা হোক, সেটা আমরা চাই না। এই সিবিএ নেতা বলেন, আমাদের অবস্থানও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।

তিতাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির আদেশ দিলে বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রশাসনকে নানামুখী চাপ দেওয়া হলে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী হবে- জানতে চাইলে বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোম্পানির স্বার্থে কোম্পানি প্রশাসন যাকে যেখানে দরকার বদলি করবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্বচ্ছতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রশাসন বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিরুদ্ধে অন্যায় করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাসের এক মহাব্যবস্থাপক বলেন, বিভিন্ন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা মূলত বিভিন্ন ঠিকদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কেউ কেউ আবার ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে জোনাল অফিসগুলোতে কাজ করে থাকেন। ফলে তাদের বদলি করলে ঠিকদার ও রাজনৈতিক কোনো কোনো নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন প্রভাবশালীকে দিয়ে তদবির করান। কথা না শুনলে নামে-বেনামে চিঠি চালাচালি করেন। সুবিধা করতে না পারলে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে- এসব বলে অপ্রপ্রচার করতে থাকেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাইব মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার। তাহলে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করে ফেলতে পারব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, তিতাসের নিজস্ব নিয়ম আইন অনুযায়ী তিতাস চলবে। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানি প্রশাসন যাকে যেখানে দরকার বদলি করবে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী একই জায়গায় বছরের পর বছর থাকতে পারে না। একই জায়গায় থাকতে চাওয়া মানে দুর্নীতির অভিপ্রায় আছে। তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বদলি বা নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দুর্নীতি। বদলি ঠেকাতে তদবির করানো দুর্নীতি। এ ছাড়া দুদকের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা প্রস্তাব দিয়েছেন মানে দুদক তারা নিশ্চয় জানে কোন কোন খাতে কারা কারা দুর্নীতি করে। দুদকের উচিত শুধু সংস্কার প্রস্তাব না দিয়ে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করছে কিনা সেটা নিয়মিত মনিটর করা।

তিতাসের সংস্কারে দুদকের ২২ সুপারিশ

তিতাসের সংস্কারে ২২ সুপারিশ করেছিল দুদক। সেগুলোর অধিকাংশই বাস্তবায়ন করা যায়নি। সুপারিশগুলো হলো-

১. অবৈধ সংযোগ : দুদকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি সংঘটিত হয় অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে। তিতাস ৬ শতাংশ যে সিস্টেম লস দেখিয়ে থাকে, সেটি অবৈধ সংযোগের কারণে। দুদক বলছে, ঢাকার আশপাশের এলাকা, বিশেষ করে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া নরসিংদী, সোনারগাঁওয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। ২. নতুন সংযোগে অনীহা : দুদকের অনুসন্ধান টিম বলছে, তিতাসের কর্মকর্তারা নতুন সংযোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করে। কারণ অবৈধ সংযোগে বেশি পরিমাণ দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। ফলে যারা বৈধ সংযোগ নিতে চায়, তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়। দুদক বলছে, প্রতিটি অবৈধ সংযোগে গড়ে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। ৩. অবৈধ সংযোগ বৈধ না করা : প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীরা বৈধতা পেতে চেষ্টা করলেও তিতাস সেটি করছে না। কারণ অবৈধ সংযোগের সঙ্গে দুর্নীতি সম্পৃক্ত। ৪. অবৈধ লাইন পুনঃসংযোগ : অবৈধ সংযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচ্ছিন্ন করলেও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেটি আবার রাতের আঁধারে সংযোগ দিয়ে আসছে। ৫. অবৈধ সংযোগ বন্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়া : দুদক বলছে, অবৈধ সংযোগ বন্ধে সত্যিকার অর্থে তিতাসের শক্তিশালী কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেই।

৬. অদৃশ্য হস্তক্ষেপে অবৈধ সংযোগ : দুদক বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও প্রভাবশালীদের অবৈধ প্রভাবের কারণে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। ৭. গ্যাস সংযোগে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ না করা : অনুসন্ধানী টিম বলছে, দুদক তিতাস অনেক ক্ষেত্রে গ্যাস সংযোগের নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করছে না। ফলে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়েছে। ৮. একই কর্মকর্তার একাধিক দায়িত্ব পালন : একই ব্যক্তি একাধিক দায়িত্ব পালন করায় কোনো দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না। ফলে দুর্নীতি হয় বলে জানিয়েছে দুদক। ৯. বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহককে শিল্প শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে সংযোগ প্রদান : ঘুষের বিনিময়ে একশ্রেণির গ্রাহককে অন্য শ্রেণির গ্রাহক দেখিয়ে কম বিল আদায় করে দুর্নীতি হয়।

১০. মিটার টেম্পারিং : মিটার টেম্পারিং তিতাসে দুর্নীতির অন্যতম একটি মাধ্যম। ১১. অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটরে গ্যাস সংযোগ : তিতাসের অধিকাংশ এলাকায় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে অনুমোদনের অতিরিক্ত বয়লার ও জেনারেটর ব্যবহার করছেন শিল্পমালিকরা। ১২. বৈধ সংযোগ দিতে হয়রানি : বৈধ সংযোগ দিতে হয়রানির মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আদায়। ১৩. মিটার বাইপাস করে সংযোগ প্রদানসংক্রান্ত দুর্নীতি : তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিটার বাইপাস করে গ্যাস সংযোগ দিয়ে দুর্নীতি করে থাকেন। ১৪. ইচ্ছাকৃতভাবে গৃহস্থালিতে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া : ইচ্ছেকৃতভাবে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের চাপ কম দিয়ে দুর্নীতি করে থাকে। ১৫. ইচ্ছাকৃতভাবে ইভিসি না বসানো : ইভিসি (ইলেকট্রিক ভলিউম কারেক্টর) বসালে গ্রাহকরা সঠিক পরিমাণ গ্যাস পেয়ে থাকেন। ফলে ইচ্ছেকৃতভাবে গ্রাহকদের ইভিসি দেওয়া হয় না।

১৬. দীর্ঘদিন ধরে শিল্প এলাকায় পোস্টিং : অবৈধ সুবিধা নিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কোনো কর্মকর্তাকে একই এলাকায় পোস্টিং দিয়ে দুর্নীতি করা হয়। ১৭. এস্টিমেশন অপেক্ষা গ্যাস কম সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানোর মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়। ১৮. অবৈধ চুলাপ্রতি বৈধ চুলার সমান টাকা আদায় করে আত্মসাৎ : গ্রাহকদের অবৈধ চুলা ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল আদায় করে নিজেরা আত্মসাৎ করছে। ১৯. গ্যাস বিক্রি বেশি দেখিয়ে আত্মসাৎ : কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রফিট বোনাস পেতে বেশি গ্যাস বিক্রি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।

২০. ভুয়া সংকেত দিয়ে অবৈধ গ্রাহকের কাছে বিল আদায় : ভুয়া গ্রাহক সংকেত দিয়ে গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দিয়ে দুর্নীতি করা হয়। ২১. আঞ্চলিক ব্যাংক হিসাব থেকে তিতাসের মাদার অ্যাকাউন্টে যথাসময়ে টাকা স্থানান্তর না হওয়া : গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত বিল যথাসময়ে তিতাসের মাদার অ্যাকাউন্টে না পাঠিয়ে ব্যাংকে রেখে সুদ খাওয়া হয়। ২২. দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বিল আদায় না করা : শিল্পমালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বকেয়া বিল আদায়ে কোনো তৎপরতা দেখায় না তিতাস। উল্লিখিত সমস্যা বা দুর্নীতি ছাড়াও দরপত্রে অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ; মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্তৃক সার্বক্ষণিক কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার, জরিমানা, সংশোধিত বিল ও জামানত আদায়ে গ্রাস বিপণন নীতিমালা অনুসরণ না করা ইত্যাদি।

প্রায় পাঁচ বছর পর এসেও দেখা যাচ্ছে দুদকের সংস্কার প্রস্তাবের অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়নি। একই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *