যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশি প্রটোকল প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। দেশের পরিবেশ শান্ত থাকায় বাড়তি এই সুবিধার আর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সব সময় কাজ করে। রাজধানীর গুলশান বারিধারা কূটনৈতিক জোনে ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সাধারণভাবে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের একইভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। দেশের মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রদূতদের প্রটোকলের জন্য আনসার বাহিনী থেকে একটি প্রটোকল ইউনিট করা হয়েছে। পুলিশের বদলে তারাই প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সরকারি খরচে (জনগণের ট্যাক্সের টাকায়) বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেওয়া হবে না। কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তাছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। তবে বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা কয়েকজনকে প্রটোকল দেই। এখন সবাই চায়। তাই বলেছি আমরা এটা উইথড্র করলাম। আর আমাদের এখন ফোর্সের অনেক প্রয়োজন। পদ্মা সেতুকে কনট্রোল করতে হচ্ছে, মেট্রোরেল কন্ট্রোল করতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত প্রটোকল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন যে, আমরা কোথাও গেলে পুলিশ সঙ্গে থাকে, এটা তাদের পছন্দ না।’
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে জঙ্গি হামলা হওয়ার পর থেকে রাজধানীর কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি আলাদা ইউনিট গঠন করে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেতেন। তবে দেশের পরিস্থিতি এখন শান্ত। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রটোকলে পরিবর্তন হয়েছে। তা ছাড়া আনসারের প্রটোকল ইউনিট এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে। কারণ প্রটোকলের জন্য ডিএমপির কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যকে কর্মরত রাখতে হয়। এ জায়গা থেকেও ডিএমপি সরে আসতে চাচ্ছে।