বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী একটি ট্যাংকারের ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরিশাল নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাটের বিপরীত পাড়ে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা এমভি এবাদি-১ জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা স্বাধীন ও বাবুল কান্তি দাস। তাদের মধ্যে স্বাধীন ট্যাংকারের চিফ ড্রাইভার কুতুব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বরিশালে বেড়াতে এসেছিলেন।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন চিফ ড্রাইভার কুতুব উদ্দিন, দ্বিতীয় ড্রাইভার রুবেল ও কামাল। কাশেম নামের অপর স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন।
জাহাজের ডেক-টেন্ডর সুমন সেন বলেন, ‘ট্যাংকারটি চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে ৩ লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে দুইদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে এসে নোঙর করে। বরিশালের মেঘনা তেলের ডিপোতে এই তেল বৃহস্পতিবার খালাস করার কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্টাফরা ইঞ্জিন রুমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।’
জাহাজটিতে ১৬ জন স্টাফ ছিলেন জানিয়ে সুমন সেন বলেন, ‘ট্যাংকারের ইঞ্জিনরুম থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, তারা খবর পেয়ে তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইঞ্জিনরুমে কমপ্রেশার মেশিনে বিস্ফোরণের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি তদন্ত না করে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।