ন্যানসির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চুরি

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ কিছু জুয়েলারি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। ‘প্রজাপ্রতি’ সিনেমার জন্য এই স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন গায়িকা।

গতকাল বুধবার রাতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ন্যান্‌সির লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। এই চুরির জন্য তার বাসার গৃহকর্মীদের সন্দেহ করা হচ্ছে।’

এদিকে চুরির ঘটনাটি আমাদের সময়কে জানিয়েছেন ন্যানসি।

তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় যে মেয়েটি কাজ করত তার নাম মিনা। গত মার্চে ওর বোন তাহমিনা অল্পদিনের জন্য আমার বাসায় কাজ করতে আসে। আমার আগের কাজের মেয়েটি হঠাৎ চলে যাওয়ায় ওকে বলেছিলাম ঈদ পর্যন্ত কাজ করতে। মিনা যেহেতু এখানে কাজ করে, তাই মনে হয়েছিল ওর বোন বিশ্বস্তই হবে।’

শিল্পী আরও বলেন, ‘গত ৫ এপ্রিল তাহমিনা হঠাৎ জানায়, আর কাজ করবে না, তার শরীর খারাপ। পরে আমি বলি, চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। কিন্তু পরে সে জানায়, ওকে নাকি ভূতে ধরেছে, এজন্য আর কাজ করবে না। তখনও চুরির বিষয়টি বুঝতে পারিনি।’

তাহমিনা চলে যাওয়ার পর ঈদের কয়েক দিন আগে ঘর গোছাতে গিয়ে চুরির বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন বলে জানান ন্যানসি। তিনি বলেন, ‘দেখি, স্বর্ণপদকসহ আরও কিছু জুয়েলারি নেই। পরে থানায় জানাই। একজন এসআই এসে তাহমিনার ছোট বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার বোনই নিয়েছে। তবে তাহমিনা ও তার স্বামীকে পুলিশ ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অস্বীকার করে।’

ন্যানসি বলেন, ‘পুলিশ যেহেতু শুরু থেকেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছিল, তখন পুলিশই আমাকে বলেছিল মুখের কথায় যদি সব পাওয়া যায় তাহলে মামলার কী দরকার? আমিও ভেবেছিলাম মুখের জিজ্ঞাসায় হয়ত দিয়ে দেবে। এখন কাজের মেয়ে আর তার স্বামী নানান রকম কথা বলা শুরু করেছে। তাই এখন লিখিত অভিযোগ করেছি।’

বাকি জিনিসপত্র না পাওয়া গেলেও স্বর্ণপদকটি ফেরত চান এ শিল্পী। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণপদকটি তো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি। এটা আমার একটা গৌরবের অর্জন। আমি এটি ফিরে পেতে চাই।’

দেড় দশক ধরে প্লে ব্যাক করে বহু পুরস্কার পেলেও ন্যানসি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন একবারই। ২০১১ সালে প্রজাপতি সিনেমায় গান গেয়ে তিনি এ পুরস্কার লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *