গণবিয়ের আগে টেস্টে জানা গেল ৫ কনে অন্তঃসত্ত্বা

Slider সারাবিশ্ব


গণবিয়ের আগে কনে অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা জানতে করা হয় পরীক্ষা। আর সে পরীক্ষার ফলে জানা যায়, পাঁচ কনে অন্তঃসত্ত্বা। পরে তাদের বিয়ের আসর থেকে বের করে দেওয়া হয়। গত শনিবার ভারতের মধ্যপ্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে গণবিয়ের আয়োজন করেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। গণবিয়ের সে আসরে ২১৯ জন কনে বিয়ের জন্য আসেন। বিয়ের জন্য আগে থেকেই নাম নথিভুক্ত করানো হয়েছিল তাদের।

বিয়ের আগে কনেদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়। গণবিয়ের আগে এ পরীক্ষা করানোয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরীক্ষার ফলে যখন জানা যায়, কনেদের মধ্যে ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা। এরপর তাদের বিয়ের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের আসর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর তখন বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে।

ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই পরীক্ষা করা হয়েছে।

এদিকে, বিয়ে বাতিল হওয়ায় ওই পাঁচ কনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাদের সবারই দাবি, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর হবু স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। হবু স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলেও দাবি তাদের।

এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা হলে যে বিয়ে বাতিল হবে বা বিয়ের আগে যে এই পরীক্ষা হবে তা কনেদের আগে থেকে জানানো হয়নি।

স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেছেন, ‘এর আগে কখনো এভাবে কনেদের পরীক্ষা করা হয়নি। এটা ঘটনায় নারীদের অপমান করা হয়েছে।’

বিজেপি নেতা শিবরামের এমন কর্মকাণ্ডে সমালোচনা করছে রাজ্যটির বিরোধী দল কংগ্রেস। এই গণবিয়ে প্রকল্প এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *