ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে জার্মানি

Slider খেলা গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ সারাদেশ

52809_Brazil
গ্রাম বাংলা ডেস্ক:
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলকে অবিশ্বাস্যভাবে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত ফাইনালে ওঠেছে জার্মানি। একতরফা ম্যাচটিতে প্রথমার্ধেই হয় পাঁচ পাঁচটি গোল। দ্বিতীয়ার্ধে এর মধ্যেই হয়ে গেছে আরো দুটি গোল। খেলার ১১ থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে গোলগুলো করে জার্মানি। আর গোলগুলো করেন টমাস মুলার (১১), মিরোস্লাভ ক্লোসা (২৩), ক্রুস (২৪ ও ২৬), খেদিরা (২৯)। অপর দুটি গোলটি করেন সুরেল (৬৯ ও ৭৯)। খেলার একেবারে শেষ দিকে একটি গোল শোধ করে ব্রাজিল। ৯০ মিনিটে গোলটি করেন অস্কার।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা সম্ভবত দ্বিতীয় একতরফা ম্যাচ। ২০০২ বিশ্বকাপে সৌদি আরবকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি। সেটাই ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয় বা বড় জয়।
আগামী রোববার হবে ফাইনাল। অপর ফাইনালিস্ট হবে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দল।
ব্রাজিল দলে ছিলেন না রক্ষণভাগের অন্যতম কান্ডারি ও অধিনায়ক সিলভা। তাই ব্রাজিলের রক্ষণভাগ কিছুটা দুর্বল থাকে সেটা সবাই ধারণা করেছিল। কিন্তু জার্মানরা যে স্বাগতিকদের জালে সাত সাতবার বল জড়াবে এই অনুমান কোনো ফুটবল বোদ্ধার করা সম্ভব না। অথচ সেটাই করে দেখালো জার্মানরা। লাতিন ধ্রুপদিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাতিনদের ঘরেই পাওয়ার ফুটবলের ঝান্ডা ওড়ালো ইউরোপের অন্যতম এই পরাশক্তি।
খেলার আধা ঘণ্টা না পেরোতেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে জার্মানি! সেই সঙ্গে বেলো হরিজন্তে ঝরতে শুরু করে লাখো ব্রাজিলিয়ানের চোখের পানি। মাঠে খেলা দেখতে আসা ব্রাজিলের সমর্থকরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
খেলার ১১ মিনিটে মুলারের গোলে এগিয়ে গেছে জার্মানি। টনি ক্রুজের কর্নার পায়ের আলতো ছোঁয়া সিজারের জালে জড়ান গত আসরের গোল্ডেন বুট জয়ী এই স্ট্রাইকার। এটি তার এই বিশ্বকাপের পঞ্চম গোল। ২৩ মিনিটের মাথায় জার্মানদের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মিরস্লাভ ক্লোসা। সঙ্গে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত ১৬ গোল করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটিও নিজের করে দেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। এর পরে ২৪ ও ২৬ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে ব্রাজিলের কবর রচনা করেন টনি ক্রুজ। খেলার ২৯ মিনিটে খেদিরার গোলে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুটি গোল করে সুরেল জার্মানির জয় পতাকা আরো উঁচু করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *