তারেক রহমানের নির্দেশেই বহিষ্কার শওকত মাহমুদ

Slider রাজনীতি


শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে মঙ্গলবার হুট করেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি কী ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন সেটি জানানো হয়নি। সূত্র বলছে, একটি সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা জানায় বিএনপি। এতে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৬ সাল থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শওকত মাহমুদ।

সূত্র জানায়, গত ১৬ মার্চ রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে জাতীয় ইনসাফ কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার ও সদস্য সচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ বক্তব্য দেন। জাতীয় ইনসাফ কমিটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন করবে বলে জানায়। বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফলে তার নির্দেশে শওকত মাহমুদকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়। গত ২০ মার্চ রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

এর আগে, গত বছরের এপ্রিলে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শওকত মাহমুদকে শোকজ করে বিএনপি। ওই সময় পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ থেকে তিনি সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিএনপির ভাষ্য, ওই সমাবেশের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তার আগে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ঢাকায় সরকারবিরোধী দুটি বড় জমায়েত হয়েছিল। এর পেছনেও শওকত মাহমুদ ছিলেন বলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। দলটির নেতারা মনে করেন, সরকার পতনের আন্দোলনের নামে এ ধরনের তৎপরতার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে।

এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এর বাইরে এখন কিছু বলতে চাই না।

দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে আমাকে সপ্তাহে চার দিন আদালতে যেতে হতো না। এত মামলাও হতো না।

দুই দফা শোকজ পাওয়ার বিষয়ে বিএনপির এই সদ্য বহিষ্কৃত নেতা বলেন, ‌‌‘শোকজের জবাব দিয়েছিলাম, তারপর দল থেকে আর কিছু জানায়নি।’ এ সময় জাতীয় ইনসাফ কমিটি একটি সামাজিক সংগঠন বলে জানান তিনি।

শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের দুই দফা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নেরও সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *