নির্বাচন কর্মকর্তাকে গণধোলাই

Slider টপ নিউজ


হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তারের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে গণধোলাই দিয়েছে জনতা।

গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহমদ। তার বিরুদ্ধে অফিসে কম আসা ও ঘুষ দূর্নীতিসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে নির্বাচন কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার দাবি করেন।

একইসময় বানিয়াচং উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার ও অপর ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার দাবি জানান। সেই সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহমদ উপস্থিত হলে সংসদ সদস্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তিনি ওই সময় আবার নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আপনি আমাকে চিনেন’। তাৎক্ষনিক উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করেন। পরে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইসরাইল মিয়া জানান, একজন অফিসার হয়ে তিনি সংসদ সদস্যের সামনে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে পারেন না।

অভিযুক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহমদ বলেন, ‘নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে আমি চিনি না। এ কারণে তিনি আমার উপর ক্ষেপে আছেন। আমার উপর হামলার ঘটনা সঠিক নয়।’

বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কর্মকর্তার মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *