দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে অন্তত ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে দেশটির সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।
এ বিষয়ে দেশটির ফেডারেল ডিস্ট্রিক্টের গভর্নর ইবানেস রোচা এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘গ্রেপ্তাররা তাদের অপরাধের জন্য সমুচিত জরিমানা দেবে।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর ব্রাজিল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট ভবন এবং সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা অঙ্গীকার করেছেন, এসব স্থানে তাণ্ডবকারীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।
ব্রাজিলে সরকারি ভবনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এবং সেসব স্থানে আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তবে ঘটনাটি দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মার্কিন ক্যাপিটলে আক্রমণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছে।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল বলসোনারোর সমর্থকদের তাণ্ডব চালানোর পর ব্রাজিলের বর্তমান বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘ফেডারেল নিরাপত্তা হস্তক্ষেপ’ ঘোষণা করেন। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবরের নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।
অবশ্য হামলার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল ব্রাসিলিয়ায় যখন এই হামলা হয় তখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা সেখানে ছিলেন না। তিনি বন্যা বিধ্বস্ত আরারাকোয়ারা শহরে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় হামলার খবর পেয়ে ডিক্রি জারি করেন। এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামলাকারীদের ‘ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট লুলা।
সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যে সমস্ত লোকজন এই হামলা করেছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।’