‘আত্মহত্যাকারী ব্যক্তিই যে ফারদিন, সেটিই তো নিশ্চিত না’

Slider টপ নিউজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তবে ডিবির এ দাবি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা।

আজ বুধবার ডিবির বিফ্রিংয়ের পর তিনি বলেন, ‘যে আত্মহত্যা করেছে, সেই ব্যক্তি যে ফারদিন, সেটিই তো নিশ্চিত না।’
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফারদিন রামপুরা থেকে যাত্রাবাড়ী গেল কী করে?’

আজ সন্ধ্যায় এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ফারদিন আত্মহত্যার জন্য বাবুবাজার ব্রিজ যান। রাত ১০টা ৫৩ মিনিট, ১১টা ৯ মিনিটের দিকে বাবুবাজার ব্রিজ ব্যস্ত থাকায় সম্ভবত সেখান থেকে তিনি চলে যান। তারপর আবার নিজের বাসা অতিক্রম করে ডেমরা সেতুতে যান।’

ফারদিনের গ্রামীণফোনের নম্বর ট্র্যাক করে তার অবস্থান ডেমরা সেতুর উপর অনুমান করা হয়েছে এবং এই লোকেশনটিতে তিনি লেগুনা থেকে নেমেছিলেন বলে লেগুনা চালক জানিয়েছিলেন। এই দুই লোকেশনের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘এতে প্রতীয়মান হয় যে, ফারদিন সর্বশেষ ওই সেতুর ঠিক মাঝখানে অবস্থান করছিলেন।’

এর আগে, ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘ফারদিন পরিবারের অনেক উত্থান-পতন দেখেছে এবং সে প্রতিটি পরিস্থিতিকে সামলে নিয়েছে। সে একজন যোদ্ধা। তার মতো ছেলে কখনোই এমন কিছু করতে পারে না।’

রামপুরা থেকে ফারদিনের যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ পোষণ করে কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেছিলেন, ‘ফারদিনকে হয়তো এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে বন্দুকের মুখে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছে। তাকে অপরাধীদের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য করা হতে পারে…। তদন্তকারীদের উচিত আমাদের সব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো…। যে ছেলে রাত ১১টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসতো, সে কেন এসব সন্দেহজনক স্থানে এভাবে ঘুরবে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *