মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা নৈপুণ্যে টাইগারদের সংগ্রহ ‘২৭১’

Slider খেলা

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের সামনে ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ জয়ের হাতছানি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই টাইগারদের চেপে ধরে ভারত। ভারতীয় বোলারদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগারদের টপ-অডার। দলীয় ৬৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের নৈপুণ্যে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭১ রান। ফলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ২৭২ রান।

সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি গড়ে দলীয় ২১৭ রানে ফেরেন রিয়াদ। সাজঘরে ফেরার আগে ৯৬ বলে চার চারে করেন ৭৭ রান। ক্যারিয়ারে ২৭তম ফিফটি করেন মাহমুদউল্লাহ।

অপরপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৮৩ বলে ৮ চারে ও ৪ ছয়ে অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে।
শেষ দিকে ১৬৪ স্ট্রাইক রেটে ঝড় তুলেন নাসুম আহমেদ। এক ছয় দুই চারে ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাসুম।

এর আগে সাকিব আল হাসানের পরপরই সাজঘরে ওয়াশিংসটন সুন্দরের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে বোল্ড আউট হয়ে শূন্য রানেই ফিরেন আফিফ। আর শিখর ধাওয়ানের কাছে লেগে স্লিপে ক্যাচে দিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। পরে রিভিউ নিলেও তা সহায় হয়নি মুশফিকের।

৩৫ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে দারুণ নৈপুণ্য সাজানো তিনটি চার উপহার দেন তিন নম্বরে নামা এই টাইগার ব্যাটার। ভারতীয় পেসার উমরান মালিকের ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতির কাছে পরাস্ত হন শান্ত। শান্তর পর এক চারে ২০ বলে ৮ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান।

ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের পর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। দলীয় ৩৯ রানে সিরাজের ইনসুইঙ্গার লেন্থে করা বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান লিটন। লিটন বলটিকে ব্যাট-প্যাড ফাঁকা রেখে সোজা খেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে বলের গতির কাছে হার মানেন লিটন। ২৩ বলে এক চারে ৭ রান করে ফেরেন তিনি।

বোলিংয়ে ভারতের পক্ষে ৩ উইকেট পান ওয়াশিংটন সুন্দর। এ ছাড়া মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক দুটি করে উইকেট লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *