বিশ্বকাপে ‘৪০০ থেকে ৫০০’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে : কাতার

Slider খেলা

কাতারের বিশ্বকাপ সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় একজন কাতারি কর্মকর্তা প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের জন্য ‘৪০০ থেকে ৫০০ এর মধ্যে’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এই সংখ্যা এর আগে দোহার প্রদানকৃত অন্য যেকোনো সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি।

কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসির সেক্রেটারি জেনারেল হাসান আল-সাওয়াদির এই মন্তব্য ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় আকস্মিকভাবেই বেরিয়ে আসে।

এতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য অভিবাসী শ্রমিকদেরকে ব্যবহারের সমালোচনাকে পুনরুজ্জীবিত হবার হুমকিও পাওয়া যায়। এই শ্রমিকেরা টুর্নামেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের স্টেডিয়াম, মেট্রোলাইন এবং নতুন অবকাঠামো তৈরি করেছে।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কমিটি এবং কাতার সরকার তাতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি।

২০১০ সালে ফিফা কাতারকে টুর্নামেন্ট প্রদান করার পর থেকে দেশটি তাদের কর্মসংস্থানের রীতিনীতিকে সংশোধন করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের তথাকথিত কাফালা কর্মসংস্থান ব্যবস্থা বাদ দেয়া। এই ব্যবস্থার আওতায় শ্রমিকেরা তাদের নিয়োগকর্তার অধীনে বাধ্যবাধ্যকতায় থাকতেন। শ্রমিকেরা চাকরি, এমনকি দেশ ছেড়ে যেতে পারবে কিনা তাও মালিকের ওপর নির্ভর করতো।

আল-সাওয়াদির মন্তব্যটি উপসাগরীয় আরব রাজ্যজুড়ে শ্রমিকদের আঘাত এবং মৃত্যুর বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এই অঞ্চলের আকাশচুম্বী ভবনগুলো ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর শ্রমিকেরা তৈরি করেছে।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *