হরতাল-অবরোধ না থাকলে পাসের হার বাড়তো

Slider জাতীয় শিক্ষা

77354_hasina

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ না থাকলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার আরও বাড়তো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ মে) সকালে গণভবনে তার হাতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে দেওয়ার পর বক্তৃতায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এ সময় সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার্থীদের কষ্ট হয়েছে। এভাবে মনোযোগ নষ্ট হয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেধাবী। তারা সুযোগ পেলেই ভালো ফলাফল করতে পারে। প্রতিকূল অবস্থাতেও পরীক্ষা দিয়ে এ ফলাফল করায় পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষাই একমাত্র হাতিয়ার। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না। এজন্যই কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি আমরা। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম উচ্চশিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে। গঠন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।

বিজ্ঞানের ছাত্র কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান বিষয়ক পড়াশোনায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষার প্রসারে অনেকগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে জানুয়ারির ১ তারিখের মধ্যেই বিনামূল্যে বই দিচ্ছি আমরা। শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি, আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেই দেশ স্বাধীন করেছি। গেরিলা পদ্ধতিতেই হরতাল-অবরোধের মধ্যেও পরীক্ষা নিতে হবে, শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধকারীরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেন না। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তার আদর্শই আমাদের শিক্ষা। একাত্তরের হানাদার আর অবরোধকারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তাদের হরতাল-অবরোধ সফল হয়নি।

সহিংসতার পথ পরিহার করতে বিএনপি-জামায়াতকে আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থান নিয়েও ভাবে। এজন্যই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করেছি আমরা।

হরতাল-অবরোধের নাশকতায় চোখ হারানো একটি মেয়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। আমরা মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সে আগামী বছর পরীক্ষা দেবে। মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে তাদের ক্ষমা নেই।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সকল শিক্ষাবোর্ড, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *