‘জাতির জন্য যে কোন আত্মত্যাগে আমি প্রস্তুত’

Slider জাতীয়

77354_hasina

 

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জন্য যে কোন আত্মত্যাগে আমি প্রস্তুত। মৃত্যুর ভয়ে আমি ভীত নই। জন্ম হয়েছে, মরতেতো একদিন হবেই। আমার কিছু হারাবার নেই। আমাদের আরও অনেক দূর পথ চলতে হবে। আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ভোগ নয়, ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ভারতের সংসদে স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদনসহ সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, পেশাজীবীসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন।

সংবর্ধনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষ আমাদের সুযোগ দিয়েছে বলেই আমরা কাজ করতে পেরেছি। আজকের এই সম্মাননা আমার প্রাপ্য না, এই প্রাপ্য বাংলার মানুষের। আমি এই সংবর্ধনা মানুষের জন্য উৎসর্গ করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির ৪১ বছর পর ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ভারতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে এই চুক্তি অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধন হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার গঠনের পর বলেছিলাম, আমি শাসন করতে আসিনি, জনগণের সেবা করতে এসেছি। কারণ আমি সব সময় আমার পিতার আদর্শ অনুসরণ করি। আমাদের লক্ষ্য হলো, মানুষকে উন্নত জীবন দিতে হবে, শিক্ষার আলোতে আলোকিত করতে হবে, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে হবে। যাতে বাঙালি জাতি বিশ্বসভায় মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে। সেই আদর্শ বুকে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘৭৫ এর পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হারিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যা করে খুনীরা বাংলার মানুষের মর্যাদাকে ভুলুণ্ঠিত করেছিল। সেই মর্যাদাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিকালে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুপুরের আগে থেকেই রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্যানে আসতে শুরু করেন। দুপুরের পর বৃষ্টি খানিকটা বিঘœ ঘটালেও তা উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসূফ, জাতীয় কিক্রেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *