মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সঙ্গে আরও ৯ জন।
এ ঘটনায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতসহ উভয়পক্ষের প্রায় তিন শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর থেকে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে ওই এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, কালকিনির আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজ ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের লোকজনের মধ্যে গত রোববার দুপুরে এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন ওই এলাকায় ১৪টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং অর্ধশতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম হোসেন। এ সময় একটি বোমা ওসির পায়ের ওপর পড়ে। এতে ওসি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রাথমিক অবস্থায় কালকিনি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ হামলার ঘটনায় গত সোমবার কালকিনি থানা পুলিশ বাদী হয়ে উভয়পক্ষের শতাধিক সমর্থকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। এ মামলায় টুমচর গ্রামের জসিম (৪০), তানভির হাসান (১৮), নয়ন (২২) ও সাব্বিরকে (১৭) গ্রেপ্তার করে ওই দিনই মাদারীপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তারের আতঙ্কে আলীনগর এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ওই এলাকার বেশিরভাগ লোকজন ঘরবাড়ি তালাবদ্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।
এ বিষয় জানতে চেয়ারম্যান শাহিদ পারভেজ ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের ফোনেও পাওয়া যায়নি।
কালকিনি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা মারগুব তৌহিদ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রেখেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’