টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। যেখানে পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। নিজের পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন হারিস রউফ। প্রথমে ইফতিখারের ক্যাচে ১০ রান করা ফিল সল্টকে ফেরান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ঙ্কর জস বাটলারকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করেন। ১৭ বলে ২৬ রান করেছেন বাটলার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করেছে ইংল্যান্ড।
প্রথম ওভারেই আউট হয়েছেন ইংল্যান্ড ওপেনার অ্যালেক্স হেলস (১)। ওভারের শেষ বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি বলে বোল্ড হন এই ডানহাতি।
আজ রোববার ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা নামা পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালো করলেও পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। স্যাম কারানের বলে ইনসাইডেজ বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৪ বলে একটি ছক্কায় ১৫ রান করেন এই ব্যাটার। পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ হারিসকে হারিয়েছে। অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের বলে বেন স্টোকসকে ক্যাচ দেন ৮ রান করা এই ডানহাতি। এরপরই দলীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পায় পাকিস্তান।
১৩তম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১২তম ওভারে আদিল রশিদের বলে তাকেই ক্যাচ দেন বাবর আজম। ২৮ বলে ২টি চারে ৩২ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পরের ওভারে শূন্য রানে বেন স্টোকসের বলে আউট হন ইফতিখার আহমেদ।
দলীয় শতকের পর শান মাসুদ ও শাদাব খান ৩৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৭তম ওভারে বিদায় নেন শান মাসুদ। স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকারে তিনি লিয়াম লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দেন। ২৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ করেন মাসুদ। পরের ওভারেই ক্রিস জর্ডানকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ২০ রান করা শাদাব খান।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খ্যাত মোহাম্মদ নওয়াজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে তিনি স্যাম কারানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
দারুণ বল করা কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২২ রানে ২টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ২টি উইকেট পান জর্ডানও।
পাকিস্তান: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ইংল্যান্ড: জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), অ্যালেক্স হেলস, ফিল সল্ট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ।