নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকবে কি-না জানতে চায় কানাডা

Slider সারাবিশ্ব


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো যাবে কি-না, জানতে চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার লিলি নিকোলাস। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে বিষয়টি জানতে চান হাই কমিশনার।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকবে কি-না জানতে চায় কানাডা

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর বাংলাদেশে নিযুক্ত হয়েছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার। কিন্তু আমার সঙ্গে এই প্রথমবার দেখা করেছেন। সৌজন্য সাক্ষাতে নির্বাচন ইস্যুতেও আলোচনা হয়। এ সময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার জানতে চান যে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে কি না?

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কিছু বলেননি তিনি। কোনো সজেশনও দেননি। নির্বাচন নিয়ে ওনারা জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করব কিনা। আমি স্পষ্ট করে বলেছি, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তাদেরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি বাংলাদেশ সরকার নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের আইন করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সেখানে সরকারের যেসকল সহযোগীতা লাগবে তা করবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, বৈঠকে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ওনারা কোনো কথা বলেননি। আমি এটা নিয়ে তাদের জানিয়েছি। কারণ সব জায়গায় এ বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে। ওনারা ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, এটা স্টেক হোল্ডারদের সাথে একবার মিটিং হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনবার মিটিং হবে। ডেটা কন্ট্রোলের জন্য এটা হবে না প্রটেক্ট করার জন্য হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্কের ৫০ বছর হচ্ছে এ বছর। সে বিষয়ে দুজনেই বলেছেন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। আমরা উভয় পক্ষ এ সম্পর্ক আরও গভীর হোক সেটা চাই।

এছাড়া গত সোমবারের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া ৪ নভেম্বরকে সংবিধান দিবস নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস। এ দিবসটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পালন করা হবে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নুর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেয়া সম্ভব না বলে আমাকে হাই কমিশনার জানিয়েছেন। আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যা কিনা। তাকে বলেছি একজন খুনিকে আশ্রয় দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *