আজ প্রথমবারের মতো সিডনিতে নামছে বাংলাদেশ

Slider খেলা

যে প্রান্তেই পা ফেলুক না কেন সাকিবরা, সেখানেই খুঁজে পাবেন এক টুকরো বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে যারা মুখরিত করে তোলে পুরো স্টেডিয়াম পাড়া৷ আর তা যদি সিডনি, তবে কী হতে পারে দৃশ্যটা ভেবে নেন আপনি!

অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীদের বেশির ভাগের বসবাসই যে সিডনিতে। যার প্রভাব দেখা দিয়েছে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর অনেক দিন আগেই। ‘এই ম্যাচের টিকেট ফুরিয়ে গেছে’ মাসখানেক আগেই বিবৃতি দিয়ে আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে। ফলে কাল ৪০ হাজার আসন সংখ্যার এই স্টেডিয়াম যে লাল-সবুজে ছেঁয়ে যাবে, তা অনুমেয়…

আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যতা পেয়েছে বাংলাদেশ প্রায় দুই যুগ হতে চলল। কিন্তু কখনোই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসএসজি) খেলা হয়নি বাংলাদেশের। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও প্রাচীন স্টেডিয়ামে অভিষেক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। শত শত কীর্তির সাক্ষী এই মাঠ, এই মাঠে রচিত হয়েছে কত কত সোনালি ইতিহাস।

অথচ দল তো নয়ই, ব্যক্তিগতভাবেও কারো খেলার অভিজ্ঞতা নেই এসএসজিতে। বিগ ব্যাশে খেলা সাকিবও কখনো খেলেননি সিডনিতে। যদিও সাকিব ব্যক্তিগত অনুভূতি ভোঁতা, ‘একসময় এসব নিয়ে অনেক এক্সাইটমেন্ট হতো। যখন খেলা দেখতাম বা খেলা শুরু করার পরও নতুন ছিলাম। এখন আর এসব নিয়ে কিছু মনে হয় না। দেখে ভালো লাগে, ওই পর্যন্ত।’

তবে দলের অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের মন্তব্য, ‘খুব ঐতিহাসিক একটা জায়গা। আমিসহ পুরো বাংলাদেশ দলই প্রথমবার খেলতে নামবে। যদিও উচিৎ ছিলো আরো অনেক আগেই খেলা, তবে তার সুযোগ হয়নি। তাই এবার উত্তেজনা কাজ করছে। সবার সামনে সুযোগ এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের জন্য ভালো কিছু করার।’

১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৭৪ বছর পুরনো স্টেডিয়াম এসএসজি। যদিও একটা সময় ময়লা ফেলার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিলো এই মাঠটিকে। তবে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। যেকোনো ক্রিকেটারেরই স্বপ্নের মাঠ সিডনি, যেই স্বপ্ন আজ পূরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।

এদিকে অবশেষে বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছে দিশা, এবার দূর করতে চায় সব অনামিশা। আজ ‘লুঙ্গি’ বাহিনীকে সামলাতে পারলেই সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে যাবে টাইগাররা। বলছিলাম লুঙ্গি এনগিডির দক্ষিণ আফ্রিকার কথা। ম্যাচটি শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায়।।

লুঙ্গি এনগিডিসহ কাগিজো রাবাদা, নর্খিয়ে, তারবিশ শামসিরা হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ। ব্যাট হাতেও বাংলাদেশকে ভোগাতে পারেন বিপিএলের নিয়মিত পারফর্মার রাইলি রুশো, ডেভিড মিলার, কুইন্টন ডি ককরা। তবে বাংলাদেশ যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা ভালো করেই জানা দক্ষিণ আফ্রিকার৷ তবুও লুঙ্গি এনগিডির মুখে আগ্রাসী সুর, ‘আমরা নিজেদের শক্তির জায়গা দিয়েই আক্রমণ করব, সেটি হলো পেস। তারা কীভাবে সামাল দেয়, তা আগামীকাল দেখব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *