বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি শুক্র ও শনিবার দুদিনের ধর্মঘট ডাকার কারণে মহাসড়কে বাস, নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীরাও।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনে দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে এ ধর্মঘট চলছে।
শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে এই পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলা সদরে আসা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য সাধারণ যাত্রী। এছাড়া ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীরা।
ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া সাররিনা হেনা নামের পরীক্ষার্থী জানান, পরিক্ষা শেষে মোড়েলগঞ্জে যেতে তিন ঘণ্টা ধরে বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে রয়েছি, কোনো পরিবহন পাচ্ছি না। দশ গুণ ভাড়ায় ইজিবাইকে উঠলেও বাস শ্রমিকরা যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। অনেক যাত্রী ঢাকায় যেতে টার্মিনাল ও বাস কাউন্টারে এসে দেখছেন দূরপাল্লার পরিবহনও আটকে দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী জানিয়েছেন, হাইকোর্টে নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ না হওয়ায় বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি অনিদৃষ্টকালের জন্য মহাসড়কে দূরপাল্লাসহ ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটে ডেকেছে। তবে শনিবারে খুলনায় বিএনপির গণমহাসমাবেশকে বানচাল করতে এ ধর্মঘট ডাকা হয়নি বলে দাবি এ পরিবহন নেতার।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম জানান, শনিবারে খুলনায় বিএনপির গণ-মহাসমাবেশকে পণ্ড করতেই আওয়ামী লীগ ও বাস মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবহার করে বাগেরহাটে ধর্মঘট ডেকেছে। শুধু তাই নয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদেরও হুমকি দিচ্ছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভুঁইয়া অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন বিএনপির এসব অগ্রহণযাগ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজেদের দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেরা নিজেরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর খোড়া যুক্তি খাড়া করছে যা কখনো কাম্য নয়। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।