ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: আঘাত হানবে সুন্দরবনে, কলকাতায় জোর প্রস্তুতি

Video News কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

???????????????????????????????????????????????????????????????

কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই। তবে এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে আপাতত সুপার সাইক্লোনের কোনো আশঙ্কা নেই। কলকাতাতেও বৃষ্টি ও হালকা ঝোড়ো বাতাস ছাড়া সেরকম আতঙ্কের কারণ নেই। এমনকী পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ 24পরগনায়তেও সরাসরি ঝড় আছড়ে পড়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সুন্দরবন এলাকায়।

শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিকদের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ এই মুহূর্তে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে রয়েছে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হয়ে শনিবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং এর অভিমুখ পরিবর্তন হবে। পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে এখন অগ্রসর হলেও গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তন হওয়ার পরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।

রোববার এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং উত্তর দিক বরাবর এগোবে। পূর্ব মধ্য ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এলে তা সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর আবারও গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়। শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে বা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রমে পরিণত হবে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর সমুদ্রে অবস্থান করবে মঙ্গলবার। এখনো ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে? কতটা শক্তিশালী হয়ে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি আবহাওয়া দপ্তর। তবে এটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ছাড়িয়ে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত আবহাওয়া দপ্তর।

এর প্রভাবে মূলত বৃষ্টি হবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ভাষা তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে। এই দুই জেলায় মাঝারি বৃষ্টি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এই তিন জেলাতেই ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে মঙ্গলবার। সোমবারেও ঝড়ো হওয়ার গতিবেগ ৭ থেকে ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে শনিবারের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে এবং রোববার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের নিয়ন্ত্রিতভাবে সমুদ্রে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী সমস্ত বিনোদনমূলক খেলাধুলো কাজকর্ম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় সমস্ত ফেরি সার্ভিস সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

কলকাতা পৌরসভার মেয়র শুক্রবার সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করার পর জানান জল জমা আটকাতে কলকাতার সমস্ত পাম্পিং স্টেশন খোলা রাখতে হবে। সমস্ত বিপদজনক পুরনো বাড়িঘর থেকে আবাসিকদের সরিয়ে কমিউনিটি হলে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পুজো মন্ডপে কাছের পাম্প রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় বড় হোর্ডিং খুলে রাখতে বলা হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার সমস্ত দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হতে পারে। আগামীকাল বিকেল পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জল এবং আলো দপ্তরকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তৈরি থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *