রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল আমিরাত, নির্ধারিত হলো বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে নামিবিয়াকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ টু-তে নেদারল্যান্ডসকে তুলে দিয়েছে আরব আমিরাত। সেই সাথে নির্ধারিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষও।

আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার জিলংয়ের এ ম্যাচে ৩৬ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পরও নামিবিয়াকে পার করাতে পারেননি ডেভিড ভিসা। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার সুপার টুয়েলভ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে নামিবিয়ার। অপরদিকে এ বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে আরব আমিরাত।

এদিকে, সুপার টুয়েলভে নিজেদের গ্রুপে শ্রীলঙ্কাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সমীকরণটা ছিল এমন- প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল খেলবে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ টুতে, যেখানে বাংলাদেশও আছে।

ফলে আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হলো নেদারল্যান্ডস।

দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৬ রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেখানে তারা কোন গ্রুপে খেলবে, তা নিশ্চিত হতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়া-আরব আমিরাতের লড়াই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপ থেকে নিজেদের ৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা।

আরব আমিরাতকে হারাতে পারলে নামিবিয়াই হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু আমিরাত আজ এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে তা হতে দেয়নি। প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলও সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের গ্রুপে যোগ দেবে, যার নিষ্পত্তি হবে আগামীকাল।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চমকে দেয়া নামিবিয়া আজ ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেনি। আমিরাতের ৩ উইকেটে ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে ৫ ওভারের মধ্যে ২৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় গেরহার্ড এরাসমাসের দল। ওপেনার মাইকেল ফন লিনগেন (১০), স্টিফেন বার্ড (৪), নিকোল লফটি-ইটন (১) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

এরপর আমিরাতের লেগ স্পিনার কার্তিক মেইয়াপ্পনের করা ইনিংসের অষ্টম ওভারে জেজে স্মিট (৩) ও এরাসমাসকেও (১৬) হারায় নামিবিয়া। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও নামিবিয়া লড়েছে শেষ পর্যন্ত।

ভিসা শেষ দিকে লড়েছেন নবম উইকেটে রুবেন ট্রাম্পেলমানকে নিয়ে। হাতে উইকেট থাকলে হয়তো শেষ ৫ ওভারে লড়াইটা জিততে পারত নামিবিয়াই। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাট করা ভিসা ও ট্রাম্পেলমানের সামনে ছিল শেষ ৩০ বলে ৬৪ রানের কঠিন সমীকরণ।

মেইয়াপ্পনের করা ১৬তম ওভারে ১৮ রান নিয়ে সমীকরণ ২৪ বলে ৪৬ রানে নামিয়ে আনেন তারা। ১৭তম ওভারে মুহাম্মদ ওয়াসিমের কাছ থেকে ১০ রান তুলে নেয় এই জুটি। কিন্তু এই ওভারের শেষ বলে ভিসার ক্যাচ ছেড়ে আমিরাতের সমর্থকদের শঙ্কা বাড়িয়ে তোলেন ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসা ওয়াসিম। তারপর তো আমিরাতের সমর্থকদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন ভিসা।

১৮তম ওভারে ভিসা-ট্রাম্পেলমান জুটি ১৬ রান নেওয়ার পর সমীকরণ নেমে আসে ১২ বলে ২০ রানে। খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু শেষ ২ ওভারে ৬ রান করে দিয়েছেন আমিরাতের বোলাররা।

শেষ ওভারে ভিসা আউট হওয়ার পর গ্যালারিতে উল্লাস করতে দেখা যায় নেদারল্যান্ডস সমর্থকদের। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ভিসার ৩৬ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটি তাই আক্ষেপই বাড়িয়েছে নামিবিয়ার। জয়ের সুবাস পেয়েও যে দলকে জেতাতে পারলেন না এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার!

এর আগে ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিমের ৪১ বলে ৫০ এবং সিপি রিজওয়ানের ২৯ বলে ৪৩ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ১৪৮ রান তোলে আমিরাত। বাসিল হামিদের ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংসটিও ছিল দারুণ। ১৪ ওভার শেষেও ১ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান ছিল আরব আমিরাতের। হামিদ ও রিজওয়ান আরব আমিরাতকে এনে দেন লড়াই করার মতো সংগ্রহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *