নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে গত কয়েক সপ্তাহ গোলাবারুদের আওয়াজ বন্ধ থেকে আবারো নতুন করে আতঙ্কের বারুদ ছড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টার।
সীমান্তে বসবাসকারীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঘুমধুমের বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পিলার ১৮, ৩১, ৩৪, ৩৫ দিয়ে এবং সদর ইউনিয়নের আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ির ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলার দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর মিয়ানমার হেলিকপ্টার থেকে বিভিন্ন প্রকার আওয়াজের গোলা নিক্ষেপ করে। বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: নুরুল আমিন বলেন, সোমবার (১০ অক্টোবর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার পরপরই বিকাল ৪টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের ৩৪, ৩৫, ৩৬ ও ৩৯ পিলার রাইট বিজিপি ক্যাম্প ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলার সালিডং ক্যাম্প থেকে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে যেন এপারে ভূমিকম্প হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দে এপারের শিশুদের ঘুম ভেঙেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আলম বলেন, সকাল ৭টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মোট তিন দফা মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণে শব্দ তিনি শোনেন। আবার মিয়ানমারের অভ্যন্তরের কিছু দূরের স্থলভাগ থেকে অনবরত গোলাগুলির আওয়াজও শুনেছেন।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো: সরোয়ার জানান, পরিবার-পরিজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে নিয়ে চিন্তাই আছেন। প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার সীমান্তে যা দেখাচ্ছে তা নিয়ে, অদূর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনায় আছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থেকে আবারো গোলাগুলির শব্দে আমাদের মাঝে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত জুড়ে বিজিবির টহল বৃদ্ধিসহ সীমান্তের বিভিন্ন সম্ভাব্য পয়েন্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শঙ্কায় কঠোর নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : ইউএনবি