অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চায় ইউক্রেন

Slider সারাবিশ্ব

পাশ্চাত্যের কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো টার্গেট করে সোমবার থেকে শুরু হওয়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলার জোট জি-সেভেনের নেতাদের সাথে এক বৈঠকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকেই তিনি পাশ্চাত্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র চেয়েছেন যা দিয়ে তিনি রুশ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে পারবেন।

বেলারুশ সীমান্তে ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি।

একইসাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রুশ তেল এবং গ্যাসের দামের ওপর সর্বোচ্চ সীমা আরোপে শক্ত পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জ্বালানি থেকে আয় কমলেই রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনে রাজী হবে। ‘এটা করা গেলে সন্ত্রাসী এই রাষ্ট্র শান্তি স্থাপনের কথা ভাববে, যুদ্ধের ক্ষতি টের পাবে,’ বলেন জেলেনস্কি।

তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষনিক-ভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা ‘কঠোরতম ভাষায়’ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জাবাবাদিহী করার অঙ্গীকার করেছেন। পশ্চিমা নেতারা বলেছেন, নির্বিচারে বেসামরিক লোকজনকে টার্গেট করা যুদ্ধাপরাধের সামিল।

জি-সেভেন জোট বলেছে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহযোগিতা না করার জন্য বেলারুশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জি-সেভেন নেতারা।

জি-সেভেন বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরবরাহ করলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে এবং ইউক্রেনীয়দের দুর্ভোগ বেড়েই চলবে।

এদিকে, ন্যাটো সামরিক জোট আজ বুধবার ব্রাসেলসে এক বৈঠকে বসছে।

বৈঠকের আগে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের জন্য সাহায্য আরো বাড়ানো হবে যাতে দেশটি রাশিয়ার কাছে খোয়ানো ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারে।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন রণক্ষেত্রে এখন ইউক্রেন জিতছে এবং ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন পরাজিত হচ্ছেন।’

তবে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জোটের অস্ত্র সম্ভারে টান পড়েছে, এবং অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে হবে।

জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ন্যাটো ইতোমধ্যেই অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছে।

ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনকে নানা ধরনের সামরিক গাড়ি, কামান এবং বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করছে।
সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *