বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু আজ

Slider রাজনীতি


বিএনপির সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের দশটি সাংগঠনিক বিভাগে শুরু হচ্ছে বিএনপির সমাবেশ। শনিবার চট্টগ্রামে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু করবে বিএনপি। এরপর ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের সবচেয়ে বড় আন্দোলন।

চট্টগ্রামে সমাবেশের নেতৃত্ব দিবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া, সমাবেশ সফল করতে নেতৃত্বে থাকবেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহাজাহান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্যগণ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা মহানগর ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, যুগ্ম আহ্বায়ক, এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

একইভাবে, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে নেতৃত্বে থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ২২ অক্টোবর খুলনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ২৯ অক্টোবর রংপুরে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ১৯ নভেম্বর সিলেটে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে বিএনপি সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের সমাবেশের পর বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমত হওয়া আওয়ামী লীগ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

চলতি বছরের আগস্ট থেকে জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ঢাকায় আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। এরপর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি। ওইদিন পুলিশের গুলিতে ভোলায় দলের দুই নেতা নিহত হন। এর প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে র‌্যালির অয়োজন করা হয়। র‌্যালিতে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবদলের এক কর্মী নিহত হন। প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদলের একজন নিহত হন।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে একাধীক কর্মসূচীতে পুলিশ ও সরকার দলের নেতাকর্মীদের হামলার পর থেকেই অন্দোলন বেগবান করে বিএনপি। ঘোষণা দেওয়া হয় অবিলম্বে আওয়মী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। মূলত বিএনপির হাইকমান্ডের নেতারা বলছেন এটা তাদের একদফা দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সারাদেশে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ করে ঐক্যমত হয়েছে বিএনপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *