সাখাওয়াত চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহ ৫জনের ডিএনএ সম্পন্ন

Slider টপ নিউজ

গাজীপুর: কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে কাজের মেয়েকে ধর্ষন করে সন্তান প্রসব ও নবজাতক আর তার মাকে অহরণের ঘটনায় করা মামলায় মোট ৫ জনের ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা গাজীপুর পিবিআই।

আজ সোমবার পিবিআই গাজীপুরের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্ত সাখাওয়াত চেয়ারম্যান, তার ভাই ও কথিত স্বামী কাজের লোক রুহিত হোসেন এবং মামলার ভিকটিম ও নবজাতকের ডিএনএ টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সোমবার সিআইডি ঢাকার ল্যাবে এই টেস্ট সম্পন্ন হয়। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই ৫ জনের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত: সম্প্রতি কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ এবং পরবর্তী কন্যাসন্তানসহ ভিকটিম ওই গৃহকর্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠে।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, চেয়ারম্যান সাখাওয়াতের প্রভাবে থানা পুলিশও মামলা নেয়নি। পরে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই গাজীপুরকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় মামলার বাদী চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

স্থানীয়রা বলেন, ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সাখাওয়াত হোসেনের আর পিছু ফিরে তাকানোর সময় নেই। তিনি এলাকায় অস্ত্রধারী বাহিনীর গড়ে তোলেন এবং দখল বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন। ভাইকে দিয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

অবৈধ আয়ে কাপাসিয়া শহরে বিলাসবহুল একাধিক বাড়ি ও গাড়ি করেছেন সাখাওয়াত হোসেন। কাপাসিয়ার রাউতকোনা এলাকায় রয়েছে সাখাওয়াতের ইটের ভাটা। রাজধানীর গুলশানে রয়েছে তার একটি রেস্টুরেন্ট। নিজের নামে স্ত্রীর নামে ও দুই ছেলের নামে কিনেছেন কোটি টাকার মূল্যের জমি; যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।

কাজের বিনিময় টাকা বা কাবিখা ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য বা কাবিখা কর্মসূচির নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে। জোরপূর্বক জনৈক হারুন মিয়ার ইটের ভাটা থেকে ২৬৪ গাড়ি ইট লুট করে নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হারুন আদালতে মামলাও করেছেন।

যুবলীগ নেতাকর্মীদের দাবি, কমিটি বাণিজ্য করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাখাওয়াত। সম্প্রতি পদ দেওয়ার নামে যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেন এবং সিভির সঙ্গে নির্ধারিত ফিসও গ্রহণ করেন। বিষয়টি কেন্দ্রের নজরে গেলে তার ওই কমিটি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি কারো জমি জবরদখল করিনি, আমার বিরুদ্ধে করা ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা, পদ বাণিজ্যের কোনো একটিতেও আমি জড়িত নই। গৃহকর্মী ধর্ষণের বিষয়টিও তিনি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।

স্বল্পসময়ে এত সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার চার ভাই আমেরিকা প্রবাসী। তাদের টাকায় আমি এসব করেছি।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, সাখাওয়াত চেয়ারম্যানের দুই ভাই প্রবাসে থাকেন। তবে তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যানের কোনো সম্পর্ক নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *