মাহীর নতুন প্লাটফর্ম ‘সিজিসি’

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

75796_mahi

 

ব্লু ব্যান্ড কল, প্রজন্ম বাংলাদেশ এর পর তরুণদের নিয়ে মাহি বি. চৌধুরীর নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘সিজিসি’ (সেন্টার ফর জেনারেশনাল চেঞ্জ)। বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী জানান, একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার জন্য রাজনীতিতে পুনরায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে যুবসমাজ জাতির জন্য বোঝা নয় বরং এক অমূল্য সম্পদ। সেই ভাবনা থেকেই যাত্রা শুরু সিজিসির। রবিবার বিকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘এ মুভমেন্ট ফর চেঞ্জ: দ্যা জার্নি কনটিনিউস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) হেনরিক ভ্যান এ্যাশভ্যান ভিজক, ব্রিটিশ হাই কমিশনের হেড অফ পলিটিক্যাল এ্যাডরিন জোনস, আই আর আই-এর আবাসিক কান্ট্রি ডিরেক্টর দিমিটার স্টকভ্ সহ আরও অনেকে। সেমিনারে উপস্থিত সবাই তরুণদের নিয়ে মাহী বি চৌধুরীর উদ্যোগকে স্বাগত জানান। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ মাহী বি চৌধুরীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মাহি তরুণদের নিয়ে যে কাজটি করার চেষ্টা করছেন অনেকদিন ধরে সেটি হচ্ছে আমাদের সবার জন্য ওয়েকআপ কল। অনেক হয়েছে এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। মাহির প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে এই তরুণদের নিয়ে সামাজিক কার্যক্রম চালানোর। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মাহি বি চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পরিবর্তনের কমিটমেন্ট নিয়ে মাহি তরুনদের নিয়ে যে পথে এগুচ্ছেন সেটা সত্যিই উৎসাহ ব্যাঞ্জক।

সেমিনারে মাহী বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে যুবসমাজের উপর এ কথা উল্লেখ করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগের বয়স ৪০ বছরের নীচে এবং ৬৫  ভাগের বয়স ২৫ বছর। আমরা সিজিসি এর মাধ্যমে এই তরুণ-যুবাদের নিয়ে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক আবহ গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, টেকসই রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য ‘এ মুভমেন্ট ফর চেঞ্জ: দ্যা জার্নি কনটিনিউস’ একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা। রাতারাতি কোন বিপ্লবের বিষয় নয়। সামনের বছরগুলোতে আমরা যুবসমাজকে নিয়ে কিছু ব্যতিক্রমী কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এগুলো হচ্ছে, গণসংযোগ স্থাপন, জাতীয় সমীক্ষা কার্যক্রম, পৌর শিক্ষা কর্মসূচি এবং নেটওয়ার্ক জ্ঞান আহরণ। সেন্টার ফর জেনারেশনাল চেঞ্জের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে দুইটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই সময়ে একটি যুব চার্টার এবং একটি ছায়া যুব মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *