চাঁদপুরে বাসায় ঢুকে জেলা আ.লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Slider জাতীয়


চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রফিকুল্লাহ (৭০) নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে পাঁচটি ছুরির আঘাত রয়েছে। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেয়ারটেকার মিরাজকে ডিবি পুলিশ আটক করে বলে জানা যায়।

রফিকুল্লাহ চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকার মৃত হেদায়েত উল্ল্যাহের ছেলে। তিনি চাঁদপুরের প্রথম শহীদ জাবেদের ছোট ভাই। তিনি শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ছিলেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।

জানা যায়, রফিকুল্লাহ নিজ বাসায় শহরের নতুন বাজারস্থ সফিনা বোডিং বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিশ্রামে ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর তার বাসার কেয়ারটেকার মিরাজ বাসায় গিয়ে দেখেন কে বা কারা রফিকুল্লাহকে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর মিরাজ রফিকুল্লাহর কাছে গিয়ে দেখেন শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত ও একটি ছুরি তার শরীরের বাম অংশে বিদ্ধমান রয়েছে। পরে তার চিকিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে যায়, দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

এদিকে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন পি পি এম, পৌর মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ও শত শত জনগণ হাসপাতালে ভীড় জমায়।

রফিকুল্লাহর কেয়ারটেকার মিরাজ জানায়, ‘যে ছেলেটি দৌড়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায় শুনেছি তার বাসা ওয়ারল্যাস এলাকায়। কাকা কখনো তার নাম আমাকে বলেনি। প্রায় সময় কাকা তাকে কল দিয়ে বাসায় ও অফিসে ডাকতেন। সে যে এ ধরণের কাজ করবে আমি জানতাম না। যদি জানতাম। তাহলে আমি বাসা থেকে বাইরে যেতাম না। আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছি। আর বাসায় ফিরে এসে কাকাকে এমন দেখতে হতো না।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি খুন মনে হচ্ছে। আরো তদন্তের বিষয় রয়েছে। তদন্ত শেষে বাকি তথ্য জানানো হবে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. সাগর মজুমদার বলেন, তার শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমন কি একটি ছুরি তার বুকের বাম পাশে গেথে ছিল। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম
পাটওয়ারী দুলাল বলেন, বলার ভাষা নেই। তার সাথে কারো কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। তবে যারা তাকে খুন করছে তার কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *