গাজীপুর: গাজীপুর নগর ভবনে হামলা ভাঙচূরের ঘটনায় থানায় তিনটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা স্বেচ্ছা
সেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সাজুকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে রেখেছেন।
বৃহসপতিবার দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দোতলার ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শাহজাহান মিয়া সাজু।
কেবিনের সামনে পুলিশ প্রহড়া বসানো। কর্তব্যরত জয়দেবপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এ এস আই) মাসুদ রাণা সাজু আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পলাতক রয়েছেন সাজুর প্রতিপক্ষ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রিপন ও তার ভাই আওয়ামীলীগ নেতা আঃ আলী
সহ অন্যরা।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভাঙচূর ও মারামারির ঘটনায় মোট তিনটি এজাহার থানায় জমা হয়েছে। এর মধ্যে কামরুজ্জামান রিপন,
শহাজাহান মিয়া সাজু ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ওই তিন এজাহারের বাদী। তিনটি মামলার মধ্যে থানায় রেকর্ড হয়েছে সিটি করপোরেশনের মামলা। ওই
মামলার আসামী শাহজাহান মিয়া সাজু, কামরুজ্জামান রিপন ও আঃ আলী সহ অজ্ঞাত নামা আসামী।
বুধবার দুপুরে আহত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রিপন জানান, তিনি মেসার্স কে আর ট্রেডিং এর মালিক ।
গত বছর মেসার্স এস এস এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহজাহান মিয়া সাজু তার নিকট থেকে ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা এখনো তিনি পরিশোধ করছেন না।
সম্প্রতি সাজু মিয়া রিপনের একটি কাজের ৯লাখ টাকার চেক সিটি করপোরেশন থেকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যান। পরে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার জের
ধরে বুধবার শাহজাহান মিয়া সাজু নগর ভবনে তার উপর হামলা করে। রিপনকে বাাঁচাতেে এসে রক্তাক্ত জখম হয় রিপনের ভাই আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলী ।
এই বিষয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক শাহজাহান মিয়া সাজু জানান, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তিনি রিপন গংদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে আহত হয়েছেন।
বুধবার দুুপরে নগর ভবনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই কাউন্সিলর সহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ভাঙচূর হয়েছে সিটি করপোরেশনের কয়েক
কর্মকর্তার কক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, সংঘর্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান কাজল, এস এম শামসুর রহমান মাসুদ, শহর পরিকল্পনাবিদ সুমনা শারমিন সহ
বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচূর হয়েছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনর রশীদ বিপুল পরিমান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রেজাউল হাসান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সিডিউল কয় নিয়ে হাঙ্গামা সৃষ্টি হওয়ায় ১৪ মে বৃহসপতিবার থেকে ২০ মে পর্যন্ত বুধবার পর্য়ন্ত গাজীপুর নগর ভবনে যে কোন স্বহিংস ঘটনার আশংকা
দেখা দিয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ বলেছেন, অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।