আমদানির হুঁশিয়ারিতে স্বস্তি ফিরছে ডিমে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


ঘাটতি নেই, চাহিদাও স্বাভাবিক। তারপরও এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ঠেকে ১৬০ টাকায়। এ অবস্থায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নড়েচড়ে বসে। আর বাণিজ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন আমদানির। এতেই বৃহস্পতিবার একদিনের ব্যবধানেই ডজনে কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

দোকানে সাজানো সারি সারি ডিম। সরবরাহেও নেই কোনো ঘাটতি। তবু গরিবের মাংস হিসেবে খ্যাত ডিমের বাজারে আগুন। গত সপ্তাহে খাদ্যমূল্য আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে হঠাৎ এক লাফে ডিমের হালি হয়ে যায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

এক সপ্তাহ অস্থিরতার পর সরকারি নানা তৎপরতা আর বাণিজ্যমন্ত্রীর ডিম আমদানির হুঁশিয়ারিতে একদিনেই প্রতি ডজনে ডিমের দাম কমে যায় ৪০ টাকার মতো।

তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সভাপতি হাজী আমানত উল্লাহ’র মতে, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া দাম বেড়েছে পোল্ট্রি খাদ্যের। এতে করে লোকসান ঠেকাতে খামারিরা ডিমের দাম বাড়িয়েছে।

ডিমের দামে ওঠানামা নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা দায় চাপাচ্ছেন খামারি আর পাইকারদের ওপর। তবে, খামারিরা বলছেন সিন্ডিকেটের কথা। সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলের লোকমান হোসেন তার খামার থেকে প্রতিদিন ৯ হাজার ডিম পাইকারদের কাছে সরবরাহ করেন। তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গত সপ্তাহ থেকে প্রতিটি ডিমের জন্য তিনি রাখছেন ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকা। কিন্তু সে ডিম ভোক্তাপর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে সাড়ে ১২ টাকায়।

তার দাবি, পরিবহন খরচ যোগ করলেও ডিমপ্রতি বাড়ার কথা সর্বোচ্চ ২৭ পয়সা। কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে যেতে যেতে বিভিন্ন পর্যায়ে হাতবদলের কারণে সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর দাম কিছুটা কমলেও এখনো তা আগের চেয়ে অনেক বেশি জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ক্রেতাদের।

এদিকে ডিমের দাম তদারকিতে তেজগাঁও ডিমের আড়তে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় দেখা যায় বেশির ভাগ আড়ত বন্ধ। ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ ও মূল্যতালিকা না থাকায় দুটি আড়তকে জরিমানা করা হয়।

সরকারি নির্দেশনায়, খুচরা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ লাভে ডিম বিক্রি করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *