সুইস ব্যাংকে নির্দিষ্ট কারও অর্থ জমার তথ্য চায়নি বাংলাদেশ : নাথালি চুয়ার্ড

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড দাবি করেছেন, বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট কোনো বাংলাদেশির সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিষয়ে তথ্য চায়নি। সুইজারল্যান্ড কালো টাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়। নাথালি চুয়ার্ড আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে এই দাবি করেন।

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে সুইজ ব্যাংকে রাখা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকার এই পাচার করা অর্থের তথ্য সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে চেয়েও পাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে নির্দিষ্ট করে কারো সম্পর্কে তথ্য চায়নি। সুইজারল্যান্ড সরকার সুইজ ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধন করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দুই দশকের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক বা সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ অর্থ জমা হয়েছে গত বছর। বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অর্থ জমা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে।

২০২১ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি সুইস ফ্রাঁর বিনিময় মূল্য ৯৫ টাকা ধরে হিসাব করলে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। গত ২০২০ সালে সেখানকার ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি ২৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা বা ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সুইস সরকার ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। গ্রিন জ্বালানি ও প্রযুক্তির প্রসারে সুইজ সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকটে সুইজারল্যান্ড সব সময় পাশে আছে। রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন সব সময় সুইজারল্যান্ড চেয়ে আসছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ দেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সুইস সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মতো স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারলে এ দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হবে।

ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *