বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিয়েই বাবার দাফন

Slider টপ নিউজ


উত্তরা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন বিথী আক্তার নামের এক ছাত্রী। এজন্য গত ৬ আগস্ট বাবার কাছ থেকে নিয়েছিলেন ১২ হাজার ৮০০ টাকা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম পূরণ করলেও শেষ পর্যন্ত টাকা জমা দিতে পারেননি তিনি। পরে ওই টাকা দিয়েই বাবার দাফনের কাজ সারেন বিথী।

জানা গেছে, টাকা জমা দেওয়ার সময় জানতে পারেন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে বিথীর বাবা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। খবর শোনা মাত্রই ভর্তি না হয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। সেদিন রাতেই মারা যান বাবা গাজী মাজহারুল ইসলাম।

জানতে চাইলে বিথী বলেন, ‘ভর্তির জন্য টাকা জমা দেওয়ার সময় বাবার দুর্ঘটনার খবর শুনি। ভর্তি না হয়েই হাসপাতালে চলে যাই। ভর্তির সেই টাকায় বাবার দাফন হয়েছে। এখন বাবা নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নও আর দেখি না।’

মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা আক্তার জানান, রিকশার গ্যারেজের ব্যবসা ভালো চলছিল না। তাই ৬ মাস আগে তার স্বামী গ্যারেজের পাশেই ভাঙারির দোকান দেন। ওই দোকানে কাজ করার সময় হঠাৎ করেই বিস্ফোরণ ঘটে।

গত ৬ আগস্ট বেলা পৌনে ১২টার দিকে তুরাগ কামারপাড়া রাজাবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় গাজী মাজহারুলের রিকশার গ্যারেজের ভেতরে গড়ে তোলা ভাঙারির দোকানে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন। আর একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *