দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি হাজি সেলিম

Slider বাংলার আদালত


দুর্নীতির মামলায় হাজি সেলিমকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। তার লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ২৩ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে ৬ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাজি সেলিমকে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন না দিয়ে ১ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

আত্মসমর্পণের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাজি সেলিম আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। ওইদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত জামিনের বিষয়টি ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের দেয়া হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন। পরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজি মো. সেলিমকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। আর আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে রায়ে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া এ মামলায় হাজি সেলিমের জব্দ করা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয় রায়ে। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলায় বিচারিক আদালতের তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজি সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় বিচারিক আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট সে সাজা থেকে তাকে খালাস দেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে এ মামলাটি আবার শুনানি হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজি সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজি সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছরের কারদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা বহালের রায় দেন। এ রায়ের পর আত্মসমর্পণ করলে হাজি সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম।

আত্মসমর্পণের পাশাপাশি জামিনের আবেদনসহ দুটি আবেদন করেন হাজি সেলিম। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাবিধি অনুযায়ী হাজি সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী হাজি সেলিমকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *