স্পেনে মাঙ্কিপক্সে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোগটিতে এটি নিয়ে ইউরোপে দ্বিতীয় কেউ মারা গেলেন। আর ব্রাজিলের একটি প্রাণহানি নিয়ে আফ্রিকার বাইরে তৃতীয় মৃত্যু। মাঙ্কিপক্সে ইউরোপে প্রথম কারও মৃত্যুর খবর আসে শুক্রবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল থেকে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। ২২ জুলাই থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, আফ্রিকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে মাঙ্কিপক্সে। আর গত সপ্তাহে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে সংস্থাটি।
শনিবার স্প্যানিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউরোপীয় দেশটিতে চার হাজার ২৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছে মাঙ্কিপক্সে। তাদের মধ্যে তিন হাজার ৭৫০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২০ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের তিন দশমিক দুই শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। মারা গেলেন দুজন।
মাঙ্কিপক্সে স্পেনে প্রথম মৃত্যু হয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে। তিনি এনসিফলাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহে মারা গেছেন।
এদিকে মাঙ্কিপক্সে ব্রাজিলে এক হাজার ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, ৯৮ শতাংশ পুরুষ, যারা অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করেছেন। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, বিশ্বজুড়ে ২১ হাজার ১৪৮ জন সংক্রামক রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরআগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পরামর্শ দেয়া বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি করে দিয়ে বলছেন, মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব বন্ধের সুযোগ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি দুই সপ্তাহে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কাজেই প্রাদুর্ভাব চূড়ায় পৌঁছাতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আগামী ২ আগস্ট নাগাদ ৮৮টি দেশে ২৭ হাজার মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেন, সংক্রমণ নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ টেকসই থাকতে পারে। কাজেই মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারিবিষয়ক অধ্যাপক অ্যান্নে রিমোইন বলেন, আমরা প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি অবস্থায় আছি। কাজেই রোগটির প্রাদুর্ভাব বন্ধের সুযোগ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে আসছে।