গাইবান্ধার নাজমুল হকের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

Slider তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকা প্রযুক্তিগত উন্নতি ও নিত্য নতুন ব্যবহারে পরিবর্তন এনে দিয়েছে এক নতুন জীবন যাত্রার রুপ। সফলে বাংলাদেশে দিনদিন ক্রমাগত প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ডিজিটাল যুগে ও ভাচুয়াল জগতে মানুষ সব কিছু পেয়ে যাচ্ছে হাতের নাগালে। ঘরে বসে অনলাইনে সব ধরনের পূন্য ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারছে।
ও সংবাদ পড়া সহ বিশ্বের সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়।

তাছাড়া ঘরে বসে অফিস ও বিশ্ব ভ্রমণ করা ও সম্ভাব আধুনিক যুগে অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহার ফলে। প্রযুক্তির এই মহাবিশ্বে চাকরির জন্য এখন আর লাইনে দ্বারাতে হয় না। চাকরির আবেদন সহ চাকরির সমস্ত কার্য্য এখন এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভাব হচ্ছে। বিশ্বের অনেক তরুণ তরুণী এখন ঘরে বসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা উপার্জন করার ও সুযোগ পাচ্ছে ।

বাংলাদেশের এমনি একজন তরুণ ফ্রিল্যান্সার মো নাজমুল হক। গাইবান্ধার এই তরুণ ফ্রিল্যান্সার, ঘরে বসে চাকরির এজেন্সি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন স্পেসালিস্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছে। এমন কি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যুক্ত রয়েছে। গত বছর আপওয়ার্কে বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষ সিইও হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো নাজমুল হক।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্টের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন প্রতিবেদন অনুসারে ফ্রিল্যান্সারে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম স্থানে এসে পৌঁছাছে। ফলে উন্নত হচ্ছে দেশ ও উপার্জন বৈদেশিক মুদ্রা। ঘুচে যাচ্ছে দারিদ্রতা ও কর্ম মুখর হচ্ছে দেশের তরুণ ও শিক্ষিত বেকাররা। কেননা দেশে যুবকদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রবণতা থাকলেও, তা করোনা মহামারির মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ।

বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং এর ঝোঁক বেশি লক্ষণীয়। ফলে আমরা নিজের টাকা দিয়ে পড়াশুনা করার পাশাপাশি হালকা পরিবারকে সাহায্যে করতে পারি। এসব দিকে লক্ষ করে নিজে আয় করার পাশাপাশি তরুণদের বেকারত্ব দূর করার স্বপ্ন দেখছেন নাজমুল হক।

তিনি মনে করেন, সরকারি চাকরির পিছনে দৌড়ে হতাশ না হয়ে, ঘরে থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও অর্থনীতির এক ধাপ সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভাব। তাই নাজমুল তরুণ বেকারদের হতাশা দূর করণে গাইবান্ধা সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট আমবাগানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেন নাজমুল হক। ইতিমধ্যে তার নিজ এলাকা ৫০ জন সহ দেশে প্রায় অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ২ শতাধিক তরুণ তরুণীকে ফ্রিল্যান্সিং হিসাবে গড়ে তুলেছেন।
নাজমুল হক বলেন, দেশের ছেলে মেয়েরা অনেক জ্ঞানী ও মেধাবী। তারা ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার বেশ আগ্রহ প্রকাশ করে।
এজন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেন নাজমুল হক ।

তাঁর মতে ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার ও প্রয়োজন।এজন্য ইংরেজি শেখা টা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য দেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে নূন্যতম ডিগ্রি পাশ থাকা উচিত। যার ফলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে দক্ষতা সহজ হবে। ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমে মাধ্যমে সফল হওয়া সম্ভাব বলে মনে করেন তরুণ ও উদীয়মান ছেলে মো নাজমুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *