শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, রাজনীতিসহ অনেক কিছু পচে গেছে : সিইসি

Slider টপ নিউজ

ওবায়দুল কাদেরকে ‘স্যার’ বলা ঠিক হয়নি মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘যেহেতু ওনার (ওবায়দুল কাদের) সঙ্গে আমার আগেই পরিচয় ছিল সেজন্য স্যার সম্বোধন করেছিলাম। এর জন্যেও আমাদের সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। যেহেতু এর আগে সবসময় স্যার বলেছি, তারই ধারাবাহিকতায় বলেছি। তবে দেখলাম এটাও বলা যাবে না।’বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নির্বাচন ধ্বংসের অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, রাজনীতিসহ অনেক কিছু পচে গেছে। আমাকে অষ্ট্রেলিয়া বা বিলেতের নির্বাচন কমিশনার করে দেন, সহজে নির্বাচন করে দেবো। এখানে নির্বাচন করা অনেক কঠিন কাজ। রাজনীতিতে অর্থশক্তি আছে- সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?

সোমবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের শেষে এসব কথা বলেন সিইসি।

গত ২৮ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইসির সংলাপে অংশগ্রহণ করে। ওই সংলাপে সিইসি ওবায়দুল কাদেরকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হয় এবং গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমার আজকে যে অবস্থা, এ অবস্থায় যদি বিদায় হতে পারতাম ভালো লাগত। আমি মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। গতকাল প্রথম সংলাপে ববি হাজ্জাজ হাসির ছলে অস্ত্রের কথা বললেন। তখন আমি বললাম, কেউ অস্ত্র নিয়ে দাঁড়ালে আপনারাও তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা কি কখনও মিন করা হয়? একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এতটুকু জ্ঞান নাই? এখন এইসব কথাগুলো কি অন্তর থেকে বলা হয়েছে, নাকি কৌতুক করে বলা হয়েছে, তা বুঝতে হবে। আজকের পেপারে দেখা গেল এটা প্রধান খবর। একটা লোককে নামিয়ে দেওয়া… এরপর তো আর মনোবল থাকে না কাজ করার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছি। যখনই আমার ছবি দেখি, বুঝতে পারি যে বাপ-দাদাসহ গালিগালাজ শুরু হবে। তখন আর দেখি না। প্রতিনিয়তই এমনভাবে বলা হচ্ছে যে, মাজা ভেঙে গেছে, এটা ভেঙে গেছে। আমরা কিন্তু মিডিয়াকে সাপোর্ট দিই, মিডিয়াকে বিশ্বাস করি। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন মিডিয়াতে খবর ছাপা হলো আমরা নাকি এমপি বাহারকে বের করতে পারিনি। আমরা তখন বললাম, আমরা বাহার সাহেবকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছি। এটা কোনো বেআইনি অনুরোধ হয়নি। উনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা করতেও পারেন আবার নাও করতে পারেন। কিন্তু ওনাকে জোর করে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের কোনো আইনে নেই।’

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নির্বাচন ধ্বংসের অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, রাজনীতিসহ অনেক কিছু পচে গেছে। আমাকে অষ্ট্রেলিয়া বা বিলেতের নির্বাচন কমিশনার করে দেন, সহজে নির্বাচন করে দেবো। এখানে নির্বাচন করা অনেক কঠিন কাজ। রাজনীতিতে অর্থশক্তি আছে- সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *