ঈদের টানা ছুটিতে কন্টেইনার জটের শঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দরে

Slider অর্থ ও বাণিজ্য


ঈদের টানা ছুটিতে পুরোদমে সচল রেখেও শুধু ডেলিভারিতে ধীর গতির কারণে চরম বেকায়দায় পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দর ব্যবহারকারী অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কাজে যোগ না দেয়ায় ইয়ার্ডে কন্টেইনারের স্তূপ জমতে শুরু করেছে।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে ডেলিভারিতে গতি না এলে কন্টেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

৯ জুলাই থেকে গত ৫ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি করা ১৩ হাজার ৪৫৮টি কন্টেইনার জাহাজ থেকে নামিয়েছে। তার বিপরীতে কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৭০৬টি। ঈদের পরদিন কোনো কন্টেইনার ডেলিভারি হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি হয় বন্দর থেকে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ডেলিভারি কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে। বিশেষ করে আমদানি-রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীরা বেশিরভাগ ঈদের ছুটিতে রয়েছেন।

বন্দর ব্যবহারকারী কোনো একটি সংস্থার কাজে ধীর গতি হলেই প্রভাব এসে পড়ে বন্দরের পুরো কার্যক্রমে। ঈদের বন্ধের কারণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীদের যেমন সংকট রয়েছে। তেমনি পরিবহন শ্রমিক স্বল্পতার কারণে প্রয়োজনীয় যানবাহন না থাকায় কোনোভাবেই ডেলিভারিতে গতি আনতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইমাম মাহমুদ বিলু বলেন, বন্দর ওভারলোডেড হয়ে গেলে দেখা যাবে আমাদের কোনো জাহাজ ঢুকতে পারছে না বা বিলম্ব হচ্ছে জাহাজে। প্রতিদিনের জন্য এ জাহাজকে যে লোকসান গুনতে হয় সেটি ফরেন কারেন্সিতে এ দেশ থেকে চলে যায়। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

বর্তমানে ৫৩ হাজার ধারণক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার রয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি। চলতি সপ্তাহে ডেলিভারিতে গতি না এলে কন্টেইনার জট সৃষ্টির শঙ্কা করছে বন্দর ব্যবহারকারীরা।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, তিনদিন সরকারি ছুটির পর যখন আমরা প্রক্রিয়াকরণ করি, সেটা করতে ৫ দিন লাগবে। এতে আটদিন সময় চলে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরের বহির্নোঙরে বর্তমানে ৭০টি পণ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজ রয়েছে ১৭টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *