ভাত বাঙালির প্রধান খাবার। ভাত খেতে ভালোবাসেন না, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। বাঙালিরা সারাদিন যা কিছুই খান না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির যেন তৃপ্তিই মেটে না। তাইতো বলা হয় ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। কিন্তু অনেকে ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ভাত খাওয়ার অনেক লাভ রয়েছে। কম পয়সাতেই এই খাবার আমরা পেয়ে যাই। এরমধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে শক্তির জোগান দেয়। তাই এখনও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে ভাতের বিকল্প নেই।
তবে এখনকার মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ খাবার সম্পর্কে অতি সচেতন। এই মানুষগুলো এ খাবারটি এড়িয়ে যেতে চান। আসলে ভাত হল সরল কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ এই খাবারটি খেলে খুব সহজেই তা হজম হয়ে যায়। এমনকী শরীর খুব দ্রুত এই খাবারটিকে গ্রহণ করে। রক্তে সুগারও বাড়ে তাড়াতাড়ি।
আবার আরও একটি সমস্যা রয়েছে এই খাবারে। এক্ষেত্রে এই খাবারে কিন্তু ভালো পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। এবার এই ক্যালোরির আধিক্য অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করে দিতে পারে। এমনকী ওজন বাড়ে অনেকটাই। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এবার এমন কিছু নিয়ম জানা যাক যার মাধ্যমে ভাত খেয়েও ওজন খুব দ্রুত বাড়বে না।
কম খান
অনেকেই ভাত খেতে বসলেই মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন না। এবার এই মানুষগুলো নিয়মিত যদি বেশি পরিমাণে ভাত খান, তবে সমস্যা দেখা দেবেই। তাই ভাত খাওয়ার সময় চেষ্টা করুন কম খাওয়ার। আর এক্ষেত্রে পেটে একটু জায়গা রেখেই খাবারটা খেতে হবে।
খিচুড়ি বানিয়ে নিন
আসলে চালের সঙ্গে ডাল ও সবজি মিশিয়ে তৈরি হয় খিচুড়ি। এবার এই খিচুড়িতে ভালো পরিমাণে রয়েছে পুষ্টিগুণ। এছাড়া ডাল ও সবজির ফাইবার রয়েছে। ফলে পেট ভর্তি হয়ে যায় সহজে। এমনকী বেশি খিদে পায় না। ফলে শরীর ভালো থাকে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
ব্রাউন রাইস
এখন বেরিয়ে গিয়েছে ব্রাউন রাইস। এই চাল খেতে দারুণ। পাশাপাশি এই চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটা কম। ফলে সুগার বাড়া বা ওজন বাড়ার সমস্যা এক্ষেত্রে তেমন একটা দেখা যায় না। তাই এই চাল অনায়াসে পাতে রাখতে পারেন।
তবে ওজন খুব বেশি থাকলে বা সুগার থাকলে নিজে থেকে বুদ্ধি খাটাতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খান ভাত। তবেই ভালো থাকবেন।